রংপুর পুলিশ সুপারের সহায়তায় এখন স্বাবলম্বী সর্বহারা আলমগীর
রংপুর পীরগঞ্জের ১২ নং মিঠিপুর ইউনিয়নের রওশনপুর গ্রামের যুবক আলমগীর হোসেন। এক সময় ঢাকায় রিকশা চালিয়ে সংসার চলত তার। এর মধ্যে শরীরে আলসারসহ নানা রোগ বাসা বাঁধে। বাধ্য হয়ে গ্রামে ফিরে আসেন। কিন্তু এলাকায় এসে আবার আটকা পড়েন লকডাউনে। হয়ে পড়েন কর্মহীন।
একদিকে শারীরিক অসুস্থতা অন্যদিকে লকডাউনে কর্মহীন জীবন। চিকিৎসার খরচ যোগাতে গিয়ে একমাত্র বসবাসের ঘরটি ১২হাজার টাকায় বন্ধক রাখে আলমগীর। চিকিৎসা করাতে গিয়ে একসময় সে টাকাও দ্রুত শেষ হয়ে যায়। বসবাসের একমাত্র ঘরটি বন্ধক রাখায় ও পরিবারের জন্য দুবেলা দুমুঠো খাবার যোগাড় করতে না পারায় সন্তানদের নিয়ে স্ত্রীও চলে যায় তার বাপের বাড়ি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে গিয়েও সে তেমন সাড়া পায়নি। এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে আলমগীর দিশেহারা হয়ে পড়ে। একটি বেসরকারি টিভির নিউজে আলমগীরের এই দুঃসহ জীবনের গল্প শুনে আলমগীরের পাশে সাহায্যের হাত বাড়ান রংপুর জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার, বিপিএম (বার), পিপিএম। আলমগীরকে কিনে দেন একটি ভ্যান ও ব্যবসা করার জন্য কিছু নগদ অর্থ।
আলমগীর এখন পুলিশ সুপারের উপহার দেয়া ভ্যানে করে বিভিন্ন হাট-বাজারে ফেরি করে বেড়ান। এ দিয়ে দিব্যি চলে যাচ্ছে দিন। এর মাঝেই তার ঘরের বন্ধক ছাড়িয়ে নিয়েছেন। স্ত্রী সন্তানও ঘরে ফিরেছে। যে অভাবের কারণে আলমগীর একদিন হারিয়েছিলো তার ঘর, সংসার, আপনজন।