পাবনায় রের্কড আক্রান্ত মৃত্যু ২ তবু অসচেতন মানুষ
রনি ইমরান (পাবনা):
গত ২৪ ঘন্টায় পাবনায় কোভিড ১৯ আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে ৮৮ জনের কোভিড ১৯ সনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন,জেলা সিভিল সার্জন অফিস। নতুন মৃত দুইজনের মধ্যে একজনের নাম আব্দুর রশিদ (৫৫) তাঁর বাড়ি পাবনা সদরের ভাড়ারা ইউনিয়নে। অপর একজনের বাড়ি পাবনা শহরে, মধ্যবয়সী নারীর নাম ইয়াসমিন আক্তার (৩৭) ।
জেলায় একদিনে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েক মাসের পরিসংখ্যানে সর্বোচ্চ। গত ৭ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫৫ জন।সংক্রমনের হার ১২.৫৯%। পাবনা সদর ও ঈশ্বরদীতে সংক্রমনের হার সবচেয়ে বেশি যা,১৫ শতাংশেরও উপরে।
করোনা আক্রান্তের ও মৃত্যু বাড়লেও মানুষের মধ্যে এর প্রভাব পড়ছেনা। সামাজিক দূরুত্বের ধ্বস ও অসচেতনতায় পাবনার কোভিড পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জেলা স্বাস্ব্যবিভাগ।
জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ মনে করছেন, অনেক আগেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে পাবনাতে।একদিকে টিকা গ্রহন স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক সচেতনতায় এই মহামারী প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে, পাবনা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বলছে, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার বিষয় হলো পাবনার বেশিরভাগ মানুষ এপর্যন্তও অসচেতন তাদের স্বাস্থ্যবিধিতে চরম উদাসীনতা রয়েই গেছে। মানুষের মাস্ক পড়ার প্রবণতা তেমন বাড়েনি, মুখের মাস্ক থুতনিতে ঝুলিয়ে রাখছে,একসাথে গাদাগাদি হয়ে আড্ডা দিচ্ছে, পাড়ার ছেলেরা মাঠে খেলাধুলা করছে,কিছু খাওয়ার আগে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী হাত ধোয়ার অভ্যাসের কমতি দেখা যাচ্ছে। এসব স্বাস্থ্যবিধি মানা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাবেক উপ পরিচালক ডাঃ রাম দুলাল ভৌমিক বলেন, মানুষকে অবশ্যই ভাবতে হবে সচেতনতায়ই পারে আমাদের এবং আমাদের পরিবারকে করোনা থেকে দূরে রাখতে।
পাবনার নবাগত জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল বলেন, সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা প্রাশাসন কাজ করে যাবে এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করবে। পাশাপাশী সকলেই নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে।