শিরোনাম

South east bank ad

কবর থেকে প্রায় দেড় মাস পর উঠানো হল কিশোরীর মরদেহ

 প্রকাশ: ২১ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এইচ. এম জোবায়ের হোসাইন:

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে কাফন-দাফনের ৪০ দিন পর এক কিশোরীর মরদেহ কবর থেকে উঠানো হয়েছে। এ সময় এলাকার হাজার হাজার উৎসুক জনতা মরদেহ দেখতে ভিড় জমান। নিহত কিশোরী উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামের বাসিন্দা।

সোমবার পৌনে ১২ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের তারাকান্দী ইসলামপুর মাদরাসার কবরস্থান থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ তোলা হয়। এর আগে ১৩ মে রাতে গোপনে ওই কিশোরীর মরদেহ দাফন করা হয় ওই কবরস্থানে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাশফিয়া তাসরিনের উপস্থিতিতে মরদেহ কবর থেকে উঠানো হয়। এ সময় গৌরীপুর সার্কেল এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান, ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই ফারুক ও পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, এটি একটি আলোচিত ঘটনা। এ ঘটনার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত হোক। তাদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানান।

গৌরীপুর সার্কেল এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মামলার পর আদালতের নির্দেশে মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উচাখিলা ইউপি চেয়ারম্যান শফিক মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে টানা ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে কিশোরীটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এতে আসামিরা বিপাকে পড়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ওই কিশোরীকে কবিরাজী ওষুধ সেবন করান।

এতে ভিকটিমের ব্যাপক রক্তক্ষরণ হলে গত ৯মে কিশোরীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার্ড করে। কিন্তু আসামিরা ভিকটিমকে ঢাকায় না নিয়ে বাড়িতে গোপন করে রাখলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকলে গত ১১ মে ভিকটিমকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে গত ১২মে রাত ২টার দিকে কিশোরীর মৃত্যু হয়।

এরপর ২৩ মে ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্য আসামিরা মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য গোপনে উপজেলার সদর ইউপির তারাকান্দী গ্রামের ইসলামপুর মাদরাসার কবরস্থানে কিশোরীর দাফন করলে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়।

পরে ঘটনার বিস্তারিত জানতে পেরে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গত ২৩ মে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মো. রাফিজুল ইসলামের কাছে মামলার আবেদন করেন।

পরদিন ২৪ মে মামলাটি আমলে নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশকে মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন আদালত। পরে সোমবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় নথিভুক্ত হয়। তবে, এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

আসামিরা হলেন, উপজেলার ৯ নম্বর উচাখিলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, তার বড় ভাই মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, নিহত মেয়ের মা, চেয়ারম্যানের বডিগার্ড দুলাল মিয়া ও মাহাবুবুল আলম।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: