চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারের মধ্যস্থতা: এক নারী ফিরে পেলেন সংসার
মোছাঃ শাপলা খাতুন, পিতা-মৃত শরীফ শাহ, সাং-খাসকররা, থানা-আলমডাঙ্গা,জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর সাথে ৯ বছর পূর্বে মোঃ নাজমুল আলম, পিতা-মোঃ মিনারুল শেখ, সাং-খাসকররা, থানা-আলমডাঙ্গা,জেলা-চুয়াডাঙ্গা এর ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। সংসার জীবনে তাদের সোয়াইব আহমেদ (০৫) নামের ফুটফুটে একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পর হতে যৌতুকের দাবিতে মোঃ নাজমুল আলম তার স্ত্রী শাপলা খাতুনের সাথে পারিবারিক কলহে জড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে নাজমুল ও তার পরিবারের লোকজন শাপলা খাতুনকে শরিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায়ে নাজমুল ও তার পরিবারের লোকজন শাপলা খাতুনকে শারিরীক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। অসহায় শাপলা খাতুন তার সন্তানকে নিয়ে তার মাতার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে নাজমুল ও তার পরিবারের লোকজন শাপলা খাতুন ও তার পরিবারকে যৌতুক দেবার জন্য চাপ প্রয়োগসহ যৌতুক না দিলে তালাক দিবে বলে হুমকি দেয় এবং যৌতুক দিতে না পারলে স্বামীর বাড়িতে ফিরতে নিষেধ করে।
শাপলা খাতুন বিভিন্ন জায়গায় তার সমস্যার সমাধান চেয়ে যোগাযোগ করেও কোন সমাধান না পেয়ে। অবশেষে তার অসহায়ত্ব থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারের নিকট আসেন। পুলিশ সুপারউক্ত বিষয়টির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তার কার্যালয়ে অবস্থিত “উইমেন সাপোর্ট সেন্টার’কে” দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ উভয় পক্ষকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করেন। পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মোঃ নাজমুল আলম তার স্ত্রী মোছাঃ শাপলা খাতুনের সাথে পুনরায় সংসার করতে ও সন্তানের ভরণ পোষন দিতে সম্মত হয়। অবশেষে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর হস্তক্ষেপে মোছাঃ শাপলা খাতুন ফিরে পেল তার সুখের সংসার ও সোয়াইব ফিরে পেল পিতৃস্নেহ ।