আনন্দ মোহন কলেজের ৩৯ শিক্ষার্থী নিয়োগ পেলেন এসআই পদে
এইচ. এম জোবায়ের হোসাইন:
ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ আনন্দ মোহন কলেজের বিভিন্ন বিভাগের ৩৯ জন শিক্ষার্থী বাংলাদেশ পুলিশের ৩৮তম বহিরাগত ক্যাডেট এসআই (নিরস্ত্র) পদে নিয়োগ পেয়েছেন। শুক্রবার (১৮ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত এক মিক্ষার্থী।
সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত আনন্দমোহন কলেজের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী তপু চক্রবর্তী জানান, একসঙ্গে এসআই পদে নিয়োগ পাওয়া ৩৯ জনের মধ্যে ইংরেজি বিভাগের ১৩ জন, অর্থনীতি ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগের পাঁচজন করে, প্রাণিবিদ্যা ও গণিতের তিনজন করে, রসায়ন ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দুইজন করে এবং সমাজকর্ম, পদার্থ বিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান, ভূগোল, দর্শন এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একজন করে শিক্ষার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে নারী রয়েছেন দুইজন।
তিনি আরো জানান, আনন্দ মোহন কলেজের বিভিন্ন বিভাগ থেকে আমরা একসঙ্গে মোট ৩৯ জন বছরব্যাপী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছি। যা আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের বিষয়। মানুষের সেবা করার চেয়ে উত্তম কিছু আর হতে পারে না। পুলিশ বাহিনীতে থেকে পুরোপুরি সেই সুযোগটিই কাজে লাগাব। সবসময় চেষ্টা করব আইনি সেবা দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে।
একই ব্যাচে নিয়োগ পাওয়া কলেজের গণিত বিভাগের আরেক ছাত্র মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, একটি স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য মাননীয় আইজিপি স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার মাধ্যমেই এ সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আশা করি আগামীতেও এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
তিনি আরো বলেন, চলতি মাস থেকেই আমরা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এসআই হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছি। আমাদের প্রত্যাশা এই পেশায় থেকে নিজেদের মেধাকে দেশ ও দেশের মানুষের সেবায় কাজে লাগাতে সর্বদা সচেষ্ট থাকব।
জানতে চাইলে আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুল আফসার বলেন, একসঙ্গে ৩৯ জনের পুলিশের এসআই পদে নিয়োগ, এটি আমাদের জন্য খুবই গর্বের একটি ব্যাপার। আমাদের কলেজের শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফলে সবসময়ই এগিয়ে এবং চাকরির পরীক্ষাতেও ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে থাকে। পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করা প্রত্যেকের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।
প্রসঙ্গত, সদ্য নিয়োগ পাওয়া এসব পুলিশ কর্মকর্তা ২০২০ সালের ১৫ জুন থেকে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু করেন। গত সোমবার (১৪ জুন) আনুষ্ঠিকভাবে তাদের এক বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ হয়। এবার ১ হাজার ২৯১ জন প্রশিক্ষার্থীর মাঝে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন ৫৭ নারীসহ ১ হাজার ২৩১ জন।