বিতর্কিত চরে খুন হলো ড্রেজার শ্রমিক
খন্দকার রবিউল ইসলাম (রাজবাড়ীর):
রাজবাড়ীর কালুখালি উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের জামালপুর নামক এলাকায় নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের সময় নিজেদের মধ্যে বিবাদে বিল্লাল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক খুন হয়েছে।নিহত ঐ যুবক কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার মসলেমপুর এলাকার আবু বক্করের ছেলে।
সোমবার (১৪ মে) সকালে নিহত বিল্লাল হোসেন ও তার মামা রফিকুল ইসলাম নদীর মধ্যে ড্রেজার চালাচ্ছিলো এমন সময় কথিত চরের ইজারাদারের শ্রমিক আনজু ও ইমরান এর মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি হয়।
ঘাতক ইমরান (২৫) পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চর-আফড়া গ্রামের সোবাহানের ছেলে। আনজু (২৮) পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চর-আফড়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামের লিয়াকত বিশ্বাস এর ছেলে।
নিহতের মামা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ও আমার ভাগ্নে নদীর মধ্যে ড্রেজারে ছিলাম। এমন সময় আনজু ও ইমরান চরের পারে এসে ডাকতে থাকে আর বলে নৌকা নিয়ে পারে আয় আমার ড্রেজারের টলারে উঠবো। পরে আমার ভাগ্নে পারে গেলে আমার ভাগ্নে কে আনজু ও ইমরান দুই জন মিলে বৌঠা দিয়ে মারতে মারতে পানিতে ফেলে দেয়। আমি ড্রেজার থেকে দেখে নদীতে সাতার দিয়ে পারে আসতে আসতে ওরা পালিয়ে যায়।
চরের অন্য ভেকু ড্রাইভার আতিক হাসান বলেন, আমি চরে ভেকু চালাচ্ছিলাম, হঠাৎ মারামারি দেখে এগিয়ে আসি।তবে কাছে গেলে ইমরান ও আনজু আমাকে ভয় দেখি বলে কাছে এলে তোকেও মেরে ফেলবো, পরে তারা ওই স্থান থেকে পালিয়ে যায়।
পরে আমি আমার হেল্পার সহ স্থানীয় সোহান আলী, পিয়াস,খোকন ও নিহতের মামা রফিকুল ইসলাম তাকে চর থেকে রাস্তায় নিয়ে গাড়িতে তুলে দেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা আলম বলেন, ঝামেলার সময় ইজারাদার সাওরাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল ও কালুখালি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক লাবু চরের উপরে ছিলো। নিহত বিল্লাল কে উপরে আনলে তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে তারা ওই স্থান থেকে চলে যায়।
উল্লেখ্য উক্ত ঘটনা স্থল (বালুর চর) নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। বিগত কোন সময় ওই স্থানে বালু মহাল বলে কোন চর ছিলো না। তবে কালুখালি উপজেলার এক মাত্র বালু মহাল সাওরাইল ইউনিয়নের পাতুরিয়া চর এ বছর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক লাবু না পাওয়ায় তারা মাধ্যম ব্যবহার করে ওই স্থান থেকে বালু উত্তোলন করে আসছিলো কয়েক মাস যাবত।
পাংশা মডেল থানার এস.আই নবীন বিশ্বাস বলেন, আমরা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। কে বা কারা মেরেছে সেটা এখনও জানা যায়নি। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে তদন্ত শেষে শ্রীপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে পবিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।