সাতক্ষীরায় একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের হার : জুন মাসে সংক্রমন ৫০.৩০, গড় ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ
আসাদুজ্জামান (সাতক্ষীরা):
সাতক্ষীরায় করোনা শনাক্তের সর্বোচ্চ হার ৬০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এ সময় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৮১টি। পজিটিভ পাওয়া গেছে ৫২ জন। শনাক্তের হার ৬৪ দশমিক ২০ শতাংশ। যা একদিনে সাতক্ষীরা জেলায় সর্বোচ্চ। জুন মাসের ১, ৪ এবং ১১ তারিখে সাতক্ষীরায় করোনা ভাইরাস শনাক্তের হার ছিল ৫০ শতাংশের নিচে। এছাড়া অন্যান্য দিনে শনাক্ত ছিল ৫০ শতাংশের বেশী। সর্বশেষ ১১ জুন সাতক্ষীরায় সর্বনিম্ন শনাক্ত হয়। এদিন ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৮ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।
শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান আব্দুর রহিম (৭৫)। তিনি কালিগঞ্জ উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের মৃত হাজের আলীর ছেলে। এনিয়ে জেলায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৫১ জন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. জয়ন্ত সরকার জানান, জেলায় এপর্যন্ত ২ হাজার ৩৭৬ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ সময় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১০ হাজার ১২৮ জনের। জেলায় করোনা শনাক্তের প্রথম দিন থেকে ১২ জুন ২০২১ পর্যন্ত গড় শনাক্ত ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এরমধ্যে বর্তমানে শুক্রবার পর্যন্ত ৬৮৩ জন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিল। এছাড়া অন্যরা সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
জেলায় করোনায় মোট মৃত্যু ৫১জন ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে মৃত্যু হয়েছে ২৪২জনের।
জুন ২০২১ মাসের ১২ দিনে সাতক্ষীরা জেলায় ১৫০৭ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭৫৮ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। জুন ২০২১ মাসের ১২ দিনে শনাক্তের হার ৫০ দশমিক ৩০ শতাংশ।
গত মে ২০২১ মাসে জেলায় ১৩৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্ত হয় ৩০৫ জনের। মে মাসে শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ৫১ শতাংশ।
অর্থাৎ শনাক্তের প্রথম দিন থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ০৭ শতাংশ। মে ২০২১ মাসে শনাক্তের হার বেড়ে হয় ২২ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং জুন ২০২১ মাসে শনাক্তের হার ৫০ দশমিক ৩০শ।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ১০ শতাংশের বেশি সংক্রমণ হার থাকা জেলাগুলোকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর ৫-৯ শতাংশ হার থাকা জেলাগুলোকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ ও ৫ শতাংশের নিচের জেলাকে স্বল্প ঝুঁকির অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করছে। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ৩৬টি জেলা চিহ্নিত করা হয়েছে।