চলমান ‘লকডাউন’ বা বিধি-নিষেধ ১৬ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার
চলমান ‘লকডাউন’ বা বিধি-নিষেধ আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সব পর্যটনস্থল, রিসোর্ট, কমিনিউটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান (বিবাহত্তোর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি) রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। কোভিড-১৯ উচ্চঝুঁকি সম্পন্ন জেলাগুলোতে জেলা প্রশাসকরা সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে স্ব স্ব এলাকায় সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এছাড়া আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহণ আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাক্স পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
আজ রোববার (৬ জুন) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধি-নিষেধের সময়সমীমা ৬ জুন মধ্যরাত থেকে ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। খাবার দোকান, হোটেল রেস্তোরাগুলো সকাল ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করতে পারবে এবং আসন সংখ্যার অর্ধেক রেখে গ্রহিতাদের সেবা দিতে পারবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত রোববার (৬ জুন) মধ্যরাত পর্যন্ত ‘লকডাউন’ বাড়ানো হয়েছিল। তবে, দেশে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় পুরোপুরি বা আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। তবুও কমানো যাচ্ছে না আক্রান্ত-মৃত্যুর হার। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ১৮ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। আর ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিন অফিস বন্ধ থাকে। আগামী ১২ জুন পযর্ন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ঘোষণা করা আছে। চলতি বছর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢিলেঢালা লকডাউন হলেও সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। পরে সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। তবে দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ এবং ট্রেন চলাচল ঈদ পর্যন্ত বন্ধ ছিল। পরে ২৪ মে থেকে গণপরিবহন চলার অনুমতি দেওয়া হয়।