ফুলবাড়িয়ায় কথিত পাঁচ সাংবাদিক আটক!
মো. আব্দুস ছাত্তার (ফুলবাড়িয়া):
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় বিভিন্ন এতিমখানায় পরিদর্শনের নামে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে কথিত পাঁচ সাংবাদিককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।
বাকতা ইউনিয়নের তালতলি এলাকায় জনতার হাতে আটকৃত সাদিয়া জান্নাত তমা, শাহাদত হোসেন আরিফ, শেখ রুবেল, মিনহাজ আহামেদ, কাউসার নামের পাঁচ প্রতারককে থানায় নিয়ে আসে এস,আই মুক্তাদির হাসান। এসময় তাদের ব্যবহৃত সাদা রঙের একটি প্রাইভেটকার জব্দ করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, তাদের বাড়ী জামালপুর, বরিশাল ও সাভার। তারা অনলাইন জি বাংলা টিভির সাংবাদিক বলে পুলিশের কাছে পরিচয় দিয়েছে। গাজীপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। রাত ১০ টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে থানা থানায় জিঙ্গাসাবাদ করছে পুলিশ।
জানাগেছে, প্রতারক চক্রটি একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানায় যায়। এতিমখানা গুলোতে গিয়ে কোনটায় সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের অডিটি টিম, আবার একটি অনলাইন টিভি’র সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে।
গত সোমবার সন্তোষপুর এতিমখানায় গিয়ে অডিটের নামে ভয়ভীতি দেখিয়ে এক লাখ টাকা দাবী করে। এক পর্যায়ে এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামানের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে আসে। বুধবার বিকালে বাকতা ইউনিয়নের শ্রীপুর এতিমখানায় গিয়ে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করলে এতিমখানা কমিটির লোকজন উপজেলা চেয়ারম্যান ও সমাজসেবা কর্মকর্তাকে জানালে,তাঁরা তাদেরকে আটক করতে বলেন। উপজেলা চেয়ারম্যান আ. মালেক সরকার ও সমাজসেবা কর্মকর্তা হাসান কিবরিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তাদের প্রতারনার বিষয়টি প্রকাশ পায়। সমাজ সেবা কর্মকর্তা হাসান কিবরিয়া জানান, প্রতারক চক্রটি এতিমখানা পরিদর্শনের সময় তারা গাড়ীতে সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের ষ্টিকার ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে কয়েকটি এতিমখানা থেকে প্রতরণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক সরকার জানান, আমার এতিমখানায় গিয়ে অডিটের নামে ১ লাখ টাকা টাকা দাবী করলে বড় ভাইয়ের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমান প্রতারক চক্র আটকের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।