রাজাপুরে ১সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ
মোঃ রাজু খান (ঝালকাঠি):
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার কাউখালী উপজেলার সীমান্তবর্তি নৈকাঠিতে ১সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার ভোর রাতের দিকের এঘটনায় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) শাখাওয়াত হোসেনসহ রাজাপুর থানা পুলিশ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভিকটিম (২৪) জানান, ৩বছর পূর্বে একই গ্রামের এক যুবকের সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। পিতার দেয়া জমিতে দালান (অসম্পুর্ণ) তৈরী করে স্বামীকে নিয়ে বসবাস করছি। দেড় বছর পূর্বে জিসান নামে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। শিশুর সাড়ে ৩মাস বয়সে স্বামী সৌদিতে পাড়ি জমান। এপর থেকে শিশু সন্তানকে নিয়ে বসবাস করছি। দীর্ঘদিন ধরে কাউখালী উপজেলার বিড়ালজুড়ি এলাকার মো. হানিফ’র পুত্র আলিম (২৬) মোবাইলে উত্যক্ত করতো। বৃহস্পতিবার রাতে ফোন দিয়ে আজেবাজে কথা শুরু করলে ফোন কেটে দিয়ে নম্বরটি ব্লাক লিস্ট করে রাখা হয়। রাত আড়াইটা থেকে ৩টার দিকে বাথরুমে বেন্টিলেটারের ফাকা জায়গা দিয়ে প্রথমে আলিম প্রবেশ করে পিছনের দরজা খুলে দিলে আরো ৫/৬জন প্রবেশ করে। আলিম যৌন নির্যাতন চালালে স্থানীয় মৃত. সেকান্দার আলীর পুত্র খোকন সিকদার (৪৫) ও মৃত. ইসরাইল হাওলাদারের পুত্র শাহ বারেক (৫০) তাতে সাহায্য করে। রশিদ মৌলভীর পুত্র বাবুল সিকদার (৫৫), নারিকেল বাড়িয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র লিটন (৩২) এবং নৈকাঠির আলতাফ হোসেনের পুত্র মিলন (৩৩) পাহাড়া দেয়। এসময় খোকন ও শাহ বারেক কানের দুল ও গলার চেইনসহ সাড়ে ১৩ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার এবং ১লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় ডাক চিৎকার দিলে পিছনের দরজা দিয়ে কুচক্রি মহলটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ভিকটিমের পিতা আঃ করিম সিকদার জানান, মেয়েকে জায়গা দিয়ে ঘর তৈরিতে সহায়তা করায় সেখানেই শিশু সন্তানকে থাকতো। রাতে দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুরাতন বাড়ি থেকে ফেরার পথে খোকন, লিটু ও মাওদুদ হোসেন মনুকে যেতে দেখেছি। তবে তারাই যে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে তখন তা বুঝতে পারিনি।
স্থানীয় রাজা সিকদার জানান, রাতে ডাক চিৎকার শুনে বের হলে আলিম, খোকন, শাহ বারেক, বাবুল, লিটু ও মিলনকে দৌড়ে পালাতে দেখি। ভোররাতে হাল্কা আলোতে দেখে সবাইকেই চিনতে পেরেছি।
রাজাপুর থানার ওসি (তদন্ত) অনিমেষ চন্দ্র মন্ডল জানান, সংবাদ পেয়ে পুরিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুরো ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের স্বীকারোক্তি নেয়া হয়েছে। তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।