মধ্যেরচরে নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আবাদি ফসলের জমি
মো:ফেরদৌস রহমান (আড়াইহাজার):
"এপাড় ভেঙ্গে ওপার গড়া, এই তো নদীর খেলা।"
লাইনটির সাথে মিলে যায়, আড়াইহাজার উপজেলার মেঘনা নদীর মাঝখানে গড়ে ওঠা, কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্যেরচর গ্রামের নদী ভাঙ্গন দৃশ্যের। আড়াইহাজার উপজেলার একমাত্র দ্বীপ ইউনিয়ন খ্যাত - কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম নদী দ্বারা বিভক্ত। মেঘনা নদীর অববাহিকায় একসময় বালি জমতে জমতে গড়ে উঠেছিল এই ইউনিয়নটি। নদীর মাঝখান থেকে তাকালে মনে হবে, একটি সবুজ ছোট্ট দ্বীপ। কিন্তু, নদী ভাঙ্গনের ফলে ভালো নেই সেই ইউনিয়নের লোকজন।
মেঘনা নদীর তীর ঘেষে গড়া ওঠা কালাপাহাড়িয়ার একটি গ্রাম হলো মধ্যেরচর। এই গ্রামের মানুষের প্রধান জীবিকার উৎস হলো আবাদি জমিতে ফসল চাষের সাথে মেঘনায় মাছ ধরা। কিন্তু, দিনের পর দিন নদীর প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে যাচ্ছে নদীর পাড়গুলো। এতে করে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আবাদি জমি। ফলে সর্বস্ব হারার পথে ঐ গ্রামের মানুষজন।
পলিমাটি বেষ্টিত এই গ্রামে ফসল হয় খুব ভালো। তাই জীবিকার প্রধান উৎস হিসেবে তাঁরা বেছে নিয়েছে এই আবাদি জমিগুলোকে। কিন্তু, নদী ভাঙ্গনের ফলে চিন্তায় যেন প্রহর কাটছে না ঐসব কৃষক আর মানুষদের।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, অবৈধ বালু উত্তলনের ফলে, একদিকের মাটিগুলো স্রোতের প্রবল আঘাতে ছড়ে যাচ্ছে অন্যদিকে। এতে করে বহুদূর পর্যন্ত ভেঙ্গে গেছে নদীর পাড়।
তাঁরা আরো বলেন, এভাবে ভাঙ্গতে থাকলে, একসময় তাদের বসতিও বিলীন হয়ে যাবে নদীগর্ভে। ফলে, বাস্তুহারায় পরিণত হতে পারে উক্ত গ্রামের লোকজন।
প্রশাসনিক দপ্তর থেকে এখনো এই ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা না আসায়, তাদের দাবি একটাই - সরকারি ব্যবস্থাপনায় নদীপাড়ে পাথরের পাটাতন বসিয়ে, নদী এলাকাকে সুরক্ষিত করা সহ অবৈধ বালু উত্তলন বন্ধ করা।