চার মুসল্লির মৃত্যু, আখেরি মোনাজাতে শেষ চরমোনাইর মাহফিল
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম।
বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহর শান্তি, মুক্তি ও উন্নতি কামনা এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের অবসান ও দেশবাসীর কল্যাণ কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বরিশালে চরমোনাই দরবার শরিফের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল আজ সোমবার শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া প্রায় আধঘণ্টাব্যাপী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম। মুসল্লিদের ক্রন্দনরোল আর আমিন আমিন ধ্বনিতে মাহফিল এলাকায় অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়। মাহফিলের মাঠ উপচে আশপাশের বাড়ির বাগান, আঙিনা, নদীর পাড় সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মুসল্লিরা মোনাজাতে অংশ নেন।
মোনাজাতের আগে ফজরের নামাজের পর শেষ বয়ানে চরমোনাই পীর বলেন, দেশ আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। স্থায়ী শান্তি আনতে হলে সর্বস্তরে ইসলামকে বিজয়ী করতে হবে। চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সারা দেশে ইসলামি আন্দোলন হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান তিনি। দেশের সকল স্তরের নির্বাচনে ইসলাম বিরোধী শক্তিকে পেছনে ফেলে ইসলামের পক্ষে গণজাগরণ সৃষ্টি করার জন্য অনুসারীদের প্রতি আহ্বান জানান চরমোনাই পীর।
চার মুসল্লির মৃত্যু চরমোনাই মাহফিলে চারজন মুসল্লি মারা গেছেন। গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত মাহফিল কম্পাউন্ডে নির্মিত অস্থায়ী হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁদের মৃত্যু হয়। আজ সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চরমোনাই মাহফিল মিডিয়া উপ-কমিটি সদস্য কেএম শরীয়াতুল্লাহ।
শরীয়াতুল্লাহ জানান, তিন দিনব্যাপী চরমোনাই মাহফিলে শুক্রবার বাকেরগঞ্জের আবু হানিফ হাওলাদার (৬৯) ও মাদারীপুরের মো. মামুনের (৪৭) মৃত্যু হয়। এর পর শনিবার চাঁদপুরের তাজুল ইসলাম গাজী (৬২) এবং রোববার পিরোজপুরের কাশেম আলীর (৭৫) মৃত্যু হয়। এরা সবার মৃত্যু হয়েছে চরমোনাই মাহফিল কম্পাউন্ডে মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে নির্মিত অস্থায়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। জানাজা শেষে মরদেহ তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।