রাজবাড়ীতে যুবকে কুপিয়ে হত্যা-আহত ২

খন্দকার রবিউল ইসলাম (রাজবাড়ী):
রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের গঙ্গাপ্রসাদপুরের ভাদালিয়া এলাকার রেলইনের পাশের মাঠের মধ্যে সুজন তালুকদার (৩৩) নামে এক যুবককে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় আরো দুজন আহত হয়েছে।
২৬ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে রিমনকে রাজবাড়ী থেকে প্রথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আহত ইমরানুলকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
নিহত সুজন গঙ্গাপ্রসাদপুর ৫নং ওয়ার্ডের মৃত গিয়াস তালুকদারের ছেলে। আহতরা হলেন রিমন মল্লিক (২২) হাসেম মল্লিকের ছেলে ও মোঃ ইমরানুল ইসলাম ফয়সাল রফিকুল ইসলামের ছেলে। নিহত সুজনের ৫বছর বয়সী তৌসিফ নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
আহত মোঃ ইমরানুল ইসলাম ফয়সাল জানান, সুজন সহ ৫জন ইফতার করার পরে রেললাইনের উপড়ে বসে ছিল এমন সময় ৮/১০জনের একটি দল মুখোষ পরা কিছু বোঝে উঠার আগেই আমাদের উপরে হামলা চালায়। এদের প্রত্যকেকের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। আমরা সাবাই যার যারমত দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করি। আমি দৌড় দিতে গিয়ে রেললাইনের উপরেই পরে যাই। পরে আমাকেও কোপাতে থাকে আমি হাত দিয়ে ঠেকার চেষ্টা করি। আমি যখন চিৎকার করে সবাইকে ডাক দেই তখন ওরা আমাকে ফেলে রেখে যায়। কিছু সময় পরে মাঠের মধ্যে গিয়ে দেখি সুজনের লাশ পরে আছে।
সুজনের বোন সেলিনা বলেন গত ১বছর আগে আমার ভাই এর সাথে স্থানীয় দুলাল মোল্লার ছেলে মোরাদের সাথে ঝামেলা ছিল, মুরাদের নেতৃত্বে আমাদের বাড়িতেও হামলা করে বাড়িঘর ভাংচুর করেছিল। তাছারা আমার ভাই এর সাথে কারো কোন ঝামেলা নেই। কিন্তু এখন কে বা কারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে তা বলতে পারবো না। তিনি আরো বলেন সুজন ধাওয়াপাড়া বালুর ঘাটে ফিরোজ নামে একজনের সাথে কাজ করতো।
ধাওয়াপাড়া বালু ঘাটের সহকারী ম্যানেজার মোঃ ফিরোজ জানান, সুজন তাদের ওখানে কোন কাজ করতো না তবে কাছের ছোট ভাই হিসেবে তার সাথে সুজনের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে ওদের গ্রামে দীর্ঘদিন যাবত একটি সমস্য চলে আসছিল যদিও ঐ সমস্যা মিমাংশার দিকে হওয়ার মধ্যে ছিল কিন্তু কি কারনে এমন ঘটনা ঘটলো তা জানি।
মিজানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আতিয়ার রহমান জানান, খবর পেয়ে এসে দেখি মাঠের মধ্যে ছেলেটির রক্তাত্ব গলা কাটা লাশ পড়ে আছে। শুনেছি ছেলেটির নাম সুজন তবে আমি ভালো করে তাকে চিনি না। এঘটনা যারাই ঘটিয়ে থাকুক না তাদের শাস্তি হওয়া উচিৎ।
রাজবাড়ী থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, ঘটনার পর থেকে থানা ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা গঙ্গাপ্রসাদপুর এলাকায় অবস্থান করছে। ঘটনাস্থল থেকে ২টি চাপাতি,একটি গাজার কইলকা, একটি পানির বোতলও চার জোড়া সেন্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কি কারণে এই হত্যা কা- ঘটানো হয়েছে তা জানা যায়নি। এঘটনায় বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।