গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে ৭ দিনের লকডাউন

মেহের মামুন (গোপালগঞ্জ) : করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউন গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে জেলায় লকডাউন শুরু হয়। জেলা, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন এ লকডাউন সফল করতে কাজ করছে।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় জেলা শহরের বাজার রোড, বাতাসা পট্রি, কাপড় পট্রি, গেঞ্জি পট্রি, চৌরঙ্গীসহ কয়েকটি এলাকায় ঘরে দেখা গেছে, এসব এলাকায় সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয়, কাঁচা বাজার, মাছ, মাংস ও ঔষধের দোকান খোলা রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া সাধারন মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যারাও বার বের হচ্ছেন তারা মাস্ক পরিধান করে বাইরে বের হয়েছেন।
লকডাউনের কারনে ঢাকা, খুলনা, বরিশালসহ দূরপাল্লা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া জেলার অভ্যান্তরীন রুটে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতি। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকা মুখি যাত্রীরা বাস ষ্ট্যান্ডে এসে যান চলাচল না করায় বাড়ী ফিরে গেছেন।
এদিকে, লকডাউনে সাধারন মানুষকে ঘর থেকে বের হতে নিরুসাহিত করতে ও মাস্ক পড়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। জেলার হাট, বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে মোবাইল কোর্ট।
এছাড়া, জেলা সদর ছাড়াও মুকসুদপুর, কোটালীপাড়া, কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায়ও লকডাউনে সকল দোকান পাট বন্ধ রয়েছে।
জেলা শহরের ব্যবসায়ী হানিফ সিকাদার, মহসিন সিকদার, সঞ্জয় সাহা বলেন, করোনা মোকাবেলার কারনে সরকার ৭ দিনের লকডাউন ঘোষনা করেছে। আমরা নিত্য প্রয়োজনের দোকা্ন ছাড়া অন্য সকল দোকান বন্ধ রেখেছি।
ক্রেতা রুহুল সিকদার, সুলতান শেখ বলেন, সকালে কাচাঁ বাজার, মাছ ও অন্যন্য পণ্র কিনতে বাইরে বের হয়েছে। তবে আমরা মাস্ক পড়াসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনা কাটা করেছি।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেছেন, করোনা প্রতিরোধে সরকার নির্দেশিত ১৮ দফা বাস্তবায়নসহ লকডাউন ঠিক রাখতে আমরা কাজ করছি। মাস্ক পরিধানসহ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে ও প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোট পরিচালনা করা হচ্ছে।