শিরোনাম

South east bank ad

বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক ঘোষণার দিন

 প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   বিশেষ সংবাদ

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

আগুন ঝরানো মার্চের আজ তৃতীয় দিন। এইদিন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ও উপস্থিতিতে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে পল্টনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।

সেদিনের এই সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী। স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ।

ইশতেহারটি ছিলো জাতির কাঙ্ক্ষিত ইচ্ছারই প্রতিফলন। ইশতেহারে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত নির্বাচিত করা হয়।

সেদিন লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ অনুষ্ঠানটি ছিল আমাদের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য দিন।

এই দিনের জনসভায় অহিংস-অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন বঙ্গবন্ধু। তিনি অবিলম্বে সামরিক আইন প্রত্যাহার, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি করেন।

আর জনতার উদ্দেশে অফিস-আদালত বন্ধ রেখে, খাজনা-ট্যাক্স না দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন এবং অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাবার নির্দেশ দেন।

বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ৩ মার্চের এই জনসভাতেও স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। সভাতে তিনি না থাকলেও বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলন যেন না থেমে থাকে সেজন্য তিনি সবার প্রতি আহবান জানান।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমি মরে গেলেও ৭ কোটি মানুষ দেখবে দেশ সত্যিকার স্বাধীন হয়েছে। তিনি বলেন, হয়তো এটাই আমার শেষ ভাষণ। আমি যদি নাও থাকি আন্দোলন যেন থেমে না থাকে। বাঙ্গালির স্বাধীনতার আন্দোলন যাতে না থামে।’

জনসভায় বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার কথা বলায় উদ্বেলিত মানুষ ‘বীর বাঙ্গালি অস্ত্র ধর . বাংলাদেশ স্বাধীন কর , গ্রামে গ্রামে দূর্গ গড় : মুক্তিবাহিনী গঠন কর শ্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে।

পরদিন ৪ মার্চ দৈনিক ইত্তেফাক এবং দৈনিক আজাদে সভার বিস্তারিত ছাপা হয় ।

অন্যদিকে এদিন বাংলার মাটি শহীদের রক্তে রঞ্জিত হয়। চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর গুলিতে ৭১ জন নিহত হয়। সারাদেশ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।

BBS cable ad

বিশেষ সংবাদ এর আরও খবর: