শিরোনাম

South east bank ad

৪ নাইজেরিয়ান নাগরিকসহ সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪

 প্রকাশ: ০৭ অগাস্ট ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   র‍্যাব

এলিট ফোর্স হিসেবে র‌্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। সাম্প্রতিক কালে প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করে সাধারণ জনগনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেণীর বিদেশী প্রতারণাচক্র। জঙ্গীবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা এবং অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি সাম্প্রতিক এসব বিদেশী প্রতারকচক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাব সদা সচেষ্ট। 6 বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে দামি উপহার পাঠানোর লোভ দেখিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে অনেক লোকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো একটি সংঘবদ্ধ চক্র। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে ০৬ আগস্ট ২০২০ তারিখ রাত :০০.৩০ ঘটিকা হতে রাত ০২.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র‌্যাব-৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল রাজধানীর কাফরুল ও পল্লবী থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের ৪ জন নাইজেরিয়ানসহ মোট ০৫ জনকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। এই গ্রুপের টুম্পা আক্তার নিজেকে বাংলাদেশের একজন কাস্টমস কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। গ্রেফতারকৃতদের নিকট থেকে দুইটি মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট, ব্যাংকে অর্থ জমাকৃত বই, চেকবই, ১২ টি মোবাইল ফোন, একটি প্রাইভেট জিপ গাড়ী, নগদ তিন লক্ষাধিক টাকাসহ হোয়াটসঅ্যাপ-ইমো-ফেসবুকে কথোপকথনের স্ক্রিনশটের কপি জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন যথাক্রমেঃ 1| Onuorah nnamdi Frank (৩২) 2| Udeze obinna ruben (৪১) 3| Macduhu Kelvin (৪১) 4| Frank jacob (৩৫) এবং 5| টুম্পা আক্তার (২৩ ,23451 দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকায় থাকা নাইজেরিয়ান নাগরিকদের একটি চক্র অভিনব কায়দায় বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের সাথে বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম-হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, ফেসবুক ইত্যাদি এর দ্বারা নিজেদেরকে আমেরিকান নাগরিক হিসেবে প্রকাশ করে। পরবর্তীতে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির পর এক পর্যায়ে দামি উপহার বাংলাদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার জাল বিছানো হয়। কিছুদিন পর বাংলাদেশের কাস্টম অফিসার পরিচয়ে এক নারী উপহার আসার কথা বললে তার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে এবং পার্সেলটি ছাড়াতে কাস্টমস ভ্যাট/শুল্ক বাবদ টাকা জমা দিতে হবে বলে জানায়। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী সেই বিদেশি প্রতারক বন্ধুকে জানালে বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা পাঠানোর কথা বলে লাখ লাখ টাকা পাঠানোর কথা বলে এবং শেষে সে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। উপরোক্ত বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং গ্রেফতারকৃত প্রতারকদের দেওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে তাদের অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
BBS cable ad

র‍্যাব এর আরও খবর: