পৃথক দু’টি অভিযানে ৬৩৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ ৪ মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূলের পাশাপাশি মাদক দ্রব্য উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারসহ নেশার মরণ ছোবল থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষা করার জন্য র্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।
এরই ধারাবাহিকতায় পৃথক দু’টি অভিযানে র্যাব-৪ এর চৌকশ আভিযানিক দল ২১/০৬/২০২০ তারিখ রাত ০২.২০ ঘটিকার সময় দারুসসালাম থানাধীন গাবতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩০০ বোতল ফেন্সিডিল, ০১টি পিকআপভ্যান ও ০২টি মোবাইলসহ মাদক ব্যবসায়ী (১) মোঃ রবিউল ইসলাম (৩৫), জেলা-দিনাজপুর ও (২) মোঃ জাকির হোসেন (৩৭), জেলা- ব্রাক্ষনবাড়িয়াদ্বয়’কে এবং ২১/০৬/২০২০ তারিখ ভোর ০৬.৩০ ঘটিকার সময় অপর একটি অভিযানে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন কল্যানপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩৩৫ বোতল ফেন্সিডিল, ০১ টি পিকআপভ্যান ও ০২টি মোবাইলসহ মাদক ব্যবসায়ী (১) শেখ মোঃ জনি (৩২), জেলা-ঢাকা ও (২) মোঃ আকাশ (১৯), মাদারীপুরদ্বয়’কে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য যে, পুলিশ ও র্যাবের চোখ ফাঁকি দিয়ে সহজে পার পাওয়ার জন্য পিকআপভ্যানের পিছনের পাটতনের নিচে স্ক্রু এর মাধ্য সংয়ুক্ত করে তৈরীকৃত একটি বিশেষ চেম্বারে কৌশলে লুকিয়ে ফেনসিডিল বহন করছিল। খোলা চোখে দেখলে মনে হবে পিকআপটি খালি কিন্তু স্ক্রু খুললেই বেরিয়ে আসে বিশেষভাবে রাখা অবৈধ ফেন্সিডিল। খালি পিকআপ থাকায় তারা কখনো পুলিশ বা র্যাবের চেকপোস্টের সম্মুখীন হয়নি। পিকআপটি শুধু মাদক পরিবহনের জন্যেই ব্যবহৃত হত। কখনো কখনো তারা বিভিন্ন ফল, সবজীর ভিতরে লুকিয়ে অবৈধ ফেন্সিডিল পরিবহন করে থাকে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা সমূহ হতে অবৈধ মাদক দ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে লোক চক্ষুর অন্তরালে বিশেষ কৌশলে পিকআপভ্যান এর মাধ্যমে বহন করে রাজধানীর কল্যাণপুর ও গাবতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক ডিলারদের নিকট বিক্রয় করে থাকে।
উপরোক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।


