করোনা আক্রান্ত সদস্যদের পাশে ডিএমপির গুলশান বিভাগ
গুলশান বিভাগের এডিসি পদমর্যাদা হতে কনস্টেবল পর্যন্ত ২০ জন গর্বিত যোদ্ধা করোনা পজিটিভ হয়েছেন। এরপরও গুলশান বিভাগের নিবেদিত, আত্মপ্রত্যয়ী পুলিশ সদস্যদের সম্মুখ সমরে দীপ্ত পদচারণায় লকডাউন বাস্তবায়ন ও দু:স্থদের মাঝে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহতরূপে চলমান। মানবিক পুলিশিং-এর এক অনন্য উদাহরণ তারা সৃষ্টি করেছেন।
গুলশান বিভাগের ডিসি সুদীপ চক্রবর্তীসহ সবাই এই দুর্যোগে আক্রান্ত সদস্যদের পাশে রয়েছেন। তাদের প্রতি সহমর্মিতার অংশ হিসেবে গুলশান বিভাগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের সূচনালগ্ন হতেই এর বিরুদ্ধে গুলশান বিভাগের করোনা যোদ্ধাদের মূল অস্ত্র ছিল পেশাদারিত্ব, মানবতা, নূতন উদ্ভাবনী ব্যবস্থাপনা আর সামাজিক দূরত্ব মানতে সবাইকে উদ্বুদ্ধকরণ। এই যুদ্ধে সবচেয়ে বড়ো প্রেরণা গুলশান বিভাগের গর্বিত পুলিশ সদস্যদের হার না মানার তীব্র মানসিকতা আর মানুষের প্রতি বিরল দায়িত্ববোধ।
০১ এপ্রিল নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত যারা হাত পাততে পারেন না তাদের সহায়তার জন্য ডিসি গুলশান অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৫,০০০ এর বেশী পরিবারের নিকট খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়।
করোনা ভাইরাসের কমিউনিটি সংক্রমণ প্রতিরোধকল্পে জনগণকে নিরাপদে ঘরে রাখতে গুলশান বিভাগের পুলিশ সদস্যগণ মাঠে থেকে দিনরাত আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এর আগে করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরতেই রাস্তায় নেমে জনসাধারণকে ন্যূনতম দূরত্ব বজায় রাখার জন্য ফার্মেসির সম্মুখে লাল কালিতে বিশেষজ্ঞদের দেয়া পরামর্শ অনুযায়ী ন্যূনতম বাধ্যতামূলক সামাজিক দূরত্ব নির্দিষ্ট করার মধ্যে দিয়ে সবার নজর কাড়ে ডিএমপির গুলশান বিভাগ।



