টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিষ্ঠানসমূহ দ্রুত ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হবে : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, জনগণের সেবা প্রদানের সাথে সম্পৃক্ত ডাক, টেলিটক, বিটিসিএলসহ টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হবে। বাটন টিপে সেবাগ্রহীতাগণ সেবা নিতে না পারলে ডিজিটাল বিপ্লব এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্টদের আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন। মন্ত্রী আজ কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের উদ্ভাবনী ও সেবা সহজীকরণ বিষয়ক ৫দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন এবং অতিরিক্ত সচিব সেলিমা সুলতানা বক্তৃতা করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্ন-সচিব মুহম্মদ আবদুল হান্নান এর সঞ্চালনায় কর্মশালার রিসোর্স পার্সন এটুআই কর্মকর্তা ইফতেখার আলম বিষয় ভিত্তিক ধারণা ব্যাখ্যা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান কাজিয়ে লাগিয়ে স্ব-স্ব কর্মক্ষেত্রে এর যথাযথ প্রয়োগ করতে পারলে সেবা গ্রহীতা জনগণ উপকৃত হবে বলে উল্রেখ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী কর্মসূচি হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি। ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার ১২ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের বিস্ময়কর রূপান্তর ঘটেছে। এই কর্মসূচি বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। করোনাকালে আমরা উপলব্ধি করতে পেরেছি যে এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত না হলে ব্যক্তিগত, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক জীবনব্যবস্থা অচল হয়ে যেতো। আমরা ডিজিটাল সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে ইউরোপ আমেরিকাসহ উন্নত দেশের তুলনায় একবিন্দু পরিমানও পিছিয়ে নেই বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, করোনার আগে দেশে একহাজার জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহার করা হতো যা ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বিগুণেরও বেশী ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জনক জনাব মোস্তাফা জব্বার ৩৪ বছরেরও বেশী সময় আইসিটি প্রযুক্তি দুনিয়ায় তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে না পারলে আগামী দিনে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। এই রূপান্তরটা ঘটানোর জন্য কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই। শুধু কম্পিউটার ভীতিটা দূর করে মানসিক অবস্থাটা ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে নিজেকে বদলাতে পারলেই নিজেকে তৈরি করা সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুপার হাইওয়ে নির্মাণের সাথে জড়িত থাকায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দায়িত্ব অপরিসীম। আমরা কেবল ডিজিটাল মহাসড়ক তৈরি করছি না। তা নিরাপদ রাখার দায়িত্বও পালন করতে হবে, নিরাপদ রাখতে হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব সততা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালনেরে প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, জনগণের জন্য সেবা সহজী করণের মাধ্যমে ভিশন বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।