জন্ম নিবন্ধন এর সুবিধা ব্যাপকভাবে প্রচারের আহ্বান স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর
সঠিক সময়ে জন্ম নিবন্ধন করার সুবিধা-অসুবিধা মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস-২০২০ উপলক্ষে রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জন্ম নিবন্ধন থাকলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রকৃত তথ্য নিরূপণ করা সহজ হয়।
সময়মত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করার জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশজুড়ে ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি করার ফলেই চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রকপ তিন গুণ বেশি হওয়ার ভবিষ্যৎ বাণী করা হলেও তা হয়নি। বরং এবছর ডেঙ্গুর প্রকোপ নেই বললেই চলে।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের গুরুত্বতুলে ধরে রেজিস্টার জেনারেল কার্যালয়কে দক্ষ মানবসম্পদ ও প্রযুক্তি দিয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ঢেলে সাজানো হবে যাতে করে এ সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা যায়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, দেশ তথ্য-প্রযুক্তি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং খাদ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে পথনকশা তৈরি করেছেন এবং সে অনুযায়ী দেশ এগিয়ে চলেছে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায়। ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে বলে জানান তিনি।
এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য "নাগরিক অধিকার করতে সুরক্ষণ, ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন"।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আব্দুল মান্নান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ আলী নূর, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ কামাল হোসেন এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের অফিসার ইনচার্জ মিজ ভিরা মেনডোনকা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্টার জেনারেল মানিক লাল বনিক
