সচিবালয়ে বহুতল ‘গ্রিন বিল্ডিং’

পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে বিদ্যুৎ ও পানি সাশ্রয় করে বৃষ্টির পানি ও সৌরশক্তির ব্যবহার উপযোগী দেশের প্রথম একটি বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে এমন ভবনটি নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুতি শুরু করেছে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।
সচিবালয়ের দুই ও তিন নম্বর ভবনের পাশে টিনশেড ভবনের পাশে ‘এল’ আকৃতির ভবনটি নির্মাণের কথা ভাবা হচ্ছে।
২০তলা বিশিষ্ট ভবনটি নির্মাণ হলে বিদ্যুৎ ও পানি সাশ্রয় হয়ে খরচ যেমন বাঁচবে, তেমনি থাকবে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। একটি বহুতল ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও সেটি কোন মডেলে হবে তা নিয়ে কয়েকদফা সভার পর ‘গ্রিন বিল্ডিং’ ধারণাটিই প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। ভবনটি নির্মাণের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা বা ডিপিপি তৈরির সিদ্ধান্তও হয়েছে।
এ সংক্রান্ত নথি থেকে জানা যায়, ভবনে কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, সাশ্রয়ী পানি ব্যবহার ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ব্যবহারের সাশ্রয়ী উপকরণ ব্যবহার, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা হবে।
সচিবালয় ইডেন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তফা কামাল বলেন, পানি ও বর্জ্য শোধন করে বার বার ব্যবহার ও খরচ কমানোই গ্রিন বিল্ডিংয়ের ধারণা। বগুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও সেটি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
নথি থেকে আরো জানা যায়, প্রতি তলায় প্রায় ২০ হাজার স্কয়ার ফুটের ভবনটিতে ব্যবহৃত কাঁচ সোলার প্যানেল হিসেবে কাজ করবে। সোলার প্যানেলে কোনো বালু পড়বে না। সেজন্য খরচ বেশি হতে পারে। বৃষ্টির পানি হাউজে ধরে রেখে ব্যবহার করা হবে।
নকশা দেখে একটি খসড়া ব্যয়ের হিসাব করা হচ্ছে। যাতে তিনশ’ থেকে চারশ’ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে এ নিয়ে সমস্যার কথা জানিয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রিন বিল্ডিংয়ের ধারণা একেবারেই নতুন। বাংলাদেশে এ বিষয়ে দু’একজন আর্কিটেক রয়েছেন। তাদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।