ক্রীড়া ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে শিক্ষা পরিপূর্ণতা লাভ করে- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ময়মনসিংহ (২৪ অক্টোবর, ২০২২ খ্রি.):
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, ক্রীড়া ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে শিক্ষা পরিপূর্ণতা লাভ করে। সুস্থ-সবল, সৃজনশীল ও মেধাবী জাতি গঠনে নিয়মিত খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান সরকার শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। কারণ এ সময়টাই তাদের দেহমনের বিকাশের সময়।
প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে ময়মনসিংহের ভাষাসৈনিক রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে ও ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত '৪৯তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২২' এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, খেলাধুলাসহ যেকোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণই মুখ্য বিষয়, জয়-পরাজয় নয়। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, তরুণ প্রজন্ম বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত। তিনি তরুণ প্রজন্মকে এ আসক্তি থেকে মুক্ত হয়ে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় মনোনিবেশ করার আহবান জানান। প্রতিমন্ত্রী এসময় বিজয়ী ও বিজিতসহ অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এর চেয়ারম্যান ও ৪৯তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২২ এর সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকার পরিচালক প্রফেসর মো. বেলাল হোসাইন ও ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা পিপিএম।
উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর চার দিনব্যাপী (২০-২৪ অক্টোবর) ৪৯তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২২ এর উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপুমনি এমপি। ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, দিনাজপুর, যশোর, বরিশাল, ময়মনসিংহ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের যে ০৯টি আঞ্চলিক অফিস আছে বোর্ডের সুবিধামত সে সকল অঞ্চলে জাতীয় পর্যায়ের খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রতি বছরের মতো এবারও সারাদেশকে চারটি অঞ্চল যথা: পদ্ম (ঢাকা, ময়মনসিংহ), বকুল (চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা), চাঁপা (রাজশাহী, রংপুর) ও গোলাপ (খুলনা, বরিশাল) -এ ভাগ করে জাতীয় পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।