আমাদের এক্সপোর্ট বেড়ে গেছে : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমাদের এক্সপোর্ট বেড়ে গেছে। কোনো না কোনো চ্যালেঞ্জিং টাইম থাকবেই। এগুলো একদিকে যেমন কঠোর, আরেক দিক থেকে আমাদের জন্য সুযোগে সৃষ্টি করে। আমাদের এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কোভিড আর ইউক্রেনের যুদ্ধ অনেক সম্প্রসারিতভাবে সুযোগ সৃষ্টি করবে। সেগুলো আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আমি মনে করি, যে কোনো অর্থনীতিবীদ এর বাইরে চিন্তা করতে পারে না, এর বাইরে চিন্তা করার কিছু নেই।
বুধবার (১ জুন) দুপুরে ভার্চুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আর্থিক খাত দুর্বল নেতৃত্বে চলছে বলে সিপিডির দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আর্থিক খাতে দুর্বৃত্তায়ন নাই। আমি তার প্রতি সম্মান এবং বিশ্বাস রেখে বলতে পারি সারা বিশ্বে সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে আমরা এগিয়ে নিয়েছি, আমার মনে হয় দিস ইজ বেস্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। অন্যদের সঙ্গে তুলনা করলেও বুঝতে পারবেন আমরা ভালো আছি। কেউ যদি ভালো সময়ের সঙ্গে এ সময় মেলানোর চেষ্টা করে তাহলে মেলানো যাবে না। এটা যদি একই রকম না হয় তাহলে কার সঙ্গে কার কম্পেয়ার করবেন।’
তিনি বলেন, কোভিড শেষ করলাম, কোভিড যা ক্ষতি করার করেছে। কোভিডের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিতে আমরা যখন বিভিন্ন দিকে মগ্ন ছিলাম সেই সময়ে আবার যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। এটা ডেফিনেটলি এক্সটার্নাল যে ভার্নাবিলিটিগুলো সম্পর্কে প্রজেকশন করা যায় না। প্রজেকশন করতে তো এজামপশন করা লাগে। কিন্তু যুদ্ধের কারণে সেটি করতে পারব না। এতুটু চাপ তো অবশ্যই। সবাইকে কিন্তু এটি নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।
দ্রব্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির চাপ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পলিটিক্যাল ইন্ডিকেশন কেন লাগবে। একটা ডিসিশন হলে সেটা নিয়ে সারা দেশের মানুষই অস্তস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়বে, এখানে রাজনীতি নাই। দেশের সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ। কেমন করে আমাদের বিদ্যমান যে অবস্থা, সেখান থেকে কীভাবে সুন্দরভাবে আমরা এগিয়ে যেতে পারি, জনগণকে সঙ্গে নিয়েই আমরা যাতে এগুতে পারি সেজন্য এ কাজটি করতে পারি। আমি মনে করি না আমাদের অন্য কোন চিন্তা আছে। আমাদের চিন্তাই হলো এটাকে মোকাবিলা করতে হবে।’