নিত্যপণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে: প্রধানমন্ত্রী

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টিসিবি’র বিক্রয় কার্যক্রম চলমান থাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমতে শুরু করেছে।
বুধবার সংসদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে সরকারি দলের কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারিতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দার কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে সব দেশেই পণ্যমূল্য লাগামহীন হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর কুফল হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে জনবান্ধব বর্তমান সরকার দেশের নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সম্ভাব্য সব রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এ সময় নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সরকারের কার্যক্রমের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে। রজমান মাসে নিত্যপণ্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি নিত্যপণ্যের টিসিবি, বর্তমান ও পূর্বের বাজারমূল্যের একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১ মার্চ সয়াবিন তেলের এক লিটার ক্যানের বাজারমূল্য ছিল ১৭০ টাকা, ৫ এপ্রিল এর মূল্য কমে হয়েছে ১৬১ টাকা ৫০ পয়সা। এ সময়ে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৭৫ টাকা থেকে কমে ১৫৫ টাকা এবং পামওয়েল প্রতি লিটার ১৫৮ টাকা থেকে কমে ১৪২ টাকা হয়েছে। এ সময় টিসিবি প্রতি লিটার ক্যান বিক্রি করেছে ১১০ টাকা করে।
মসুর ডালের কেজি ১ মার্চের ১২০ টাকা থেকে কমে ৫ এপ্রিল হয়েছে ১১২ টাকা ৫০ পয়সা। এ সময় টিসিবি বিক্রি করেছে ৬৫ টাকা কেজি। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১ মার্চের ৮৫ টাকা থেকে কমে ৫ এপ্রিল ৭৮ টাকা হয়েছে। এ সময় টিসিবি বিক্রি করেছে ৫৫ টাকা। ছোলা প্রতি কেজি ১ মার্চের ৭৭ টাকা থেকে কমে ৫ এপ্রিল ৭২ টাকা ৫০ পয়সায় এসেছে। এ সময় টিসিবি বিক্রি করেছে ৫০ টাকা কেজি। পেঁয়াজ ১ মার্চের ৬০ টাকা কেজি থেকে কমে ৫ এপ্রিল ৩১ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে। টিসিবি বিক্রি করেছে ২০ টাকা কেজি দরে।