মাতৃভাষাই হতে হবে জ্ঞানার্জনের বাহন : মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, যে জাতি মাতৃভাষাকে জ্ঞানার্জনের বাহন হিসেবে বেছে নিয়েছে সে জাতি পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে। তিনি বলেন, আমাদের ভাষা আন্দোলন চলমান। এই আন্দোলন চলমান রাখতে না পারলে এর অন্তর্নিহিত বিষয় হারিয়ে যাবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মাতৃভাষাই হতে হবে জ্ঞানার্জনের বাহন।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় অনলাইনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য অরোমা দত্ত, অধ্যাপক জাফর ইকবাল, ড. মুনতাসীর মামুন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, কথা শিল্পি সেলিমা হোসেন, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী প্রমূখ বক্তৃতা করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী উচ্চ শিক্ষায় বাংলা ভাষার অনুপস্থিতি বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে বাংলা শিক্ষার প্রতি অনাগ্রহের জন্য হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, আমরা রক্ত দিয়ে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। আসামেও বাংলার জন্য রক্ত দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় দাবিতে রক্ত দিয়েছে। পৃথিবীতে বহুদেশে মাতৃভাষার আন্দোলন এখনো চলমান আছে। তিনি মাতৃভাষায় জ্ঞানার্জনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, জাপানিরা পৃথিবীর জ্ঞান ভান্ডার জাপানি ভাষায় রূপান্তরের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আমাদেরও তা করতে হবে।

কম্পিউটারে বাংলা ভাষার জনক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাভাষাকে আমরা রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছি কিন্তু এর উন্নয়ন ও সংরক্ষনে দৈনদশা বিদ্যমান। অতীতে এর উন্নয়নে কোন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে প্রযুক্তিতে বাংলাভাষার উন্নয়নে যুগান্তকারি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। প্রযুক্তিতে বাংলাভাষার উন্নয়নে ১৬টি টুলস উন্নয়নে একশত ৫৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। সরকারি অফিসে নথি পত্রে বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করা হলেও বেসরকারি অফিস সমূহে বাংলা ব্যবহারে অনাগ্রহের বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষার উন্নয়নে ভাষা নীতি অপরিহার্য।

বক্তারা বাংলাভাষার জন্য একটি ভাষা একাডেমি প্রতিষ্ঠা ও ভাষা নীতিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।