কৃষিজমি নষ্ট করে শিল্প স্থাপন নয় :প্রধানমন্ত্রী

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে যত্রতত্র শিল্প কারখানা যাতে গড়ে না ওঠে সেদিকে লক্ষ্য রাখার নির্দেশদিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।পরিকল্পিত ও সঠিক জায়গায় শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে হবে। কোনোভাবেই কৃষিজমি নষ্ট করে শিল্প স্থাপন করা যাবে না। গতকাল বুধবারতেজগাঁওয়ের নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) প্রথম গভর্নিং বোর্ডের সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। খবর :বাসসও বিডিনিউজের।
নবগঠিত বিআইডিএর চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকালের সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসাংবাদিকদের বলেন, বেকার যুবকদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতেও প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
সভায় বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বৈঠকে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এর ভবিষ্যৎ করণীয় তুলে ধরেন।
সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফহোসেন, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল,
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মিয়ানমারের বিমানবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ :এর আগে সফররত মিয়ানমারের বিমানবাহিনী প্রধান জেনারেল খিন অং মিন্ট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তারকার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন,সাক্ষাৎকালে জেনারেল মিন্ট শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারের বিদ্রোহী সমস্যার উল্লেখ করে বলেন, প্রতিবেশী দেশের ক্ষতির কারণ ঘটাতে পারে এমন কাউকেই বাংলাদেশ তারমাটি কখনই ব্যবহারের সুযোগ দেবে না।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ মিয়ো মিন্ট উপস্থিত ছিলেন।