এস এম সুলতানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর তিনি ইন্তেকাল করেন। এ উপলক্ষে আজ
নড়াইল জেলা প্রশাসন ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সুলতান কমপ্লেক্সে দোয়া মাহফিল, শিল্পীর মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শিশু চিত্রাঙ্কনপ্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।
এস এম সুলতান ছিলেন যুগপ্রবর্তক চিত্রশিল্পী। চার-পাঁচ বছর বয়স থেকেই তার মধ্যে ছিল ছবি আঁকার প্রবল ঝোঁক। সে বয়সে পুঁইলতার পাকাফলের রঙ আর কাঁচা হলুদ রঙ ছিল তার খুব প্রিয়।
মাত্র ১১ বছর বয়সে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের একটি প্রতিকৃতি এঁকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। নড়াইলের জমিদার ধীরেন্দ্রনাথ রায় তারআঁকা ছবি দেখে মুগ্ধ হন। ১৯৪৭ সালে ভারতের সিমলায় তার প্রথম একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৫১ সালে নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক শিক্ষা সম্মেলনেপাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ১৯৫৫ সালে সবার অলক্ষ্যে করাচি থেকে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন স্কুল অবআর্টস।
শিল্পী এস এম সুলতান বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘুরেছেন। সেসব দেশে নিজের আঁকা ছবির প্রদর্শনী করেছেন এবং বেশ সুনামও কুড়িয়েছেন। দেশে চারটিদলবদ্ধ, দুটি একক চিত্র প্রদর্শনী এবং লন্ডনে একটি দলবদ্ধ প্রদর্শনী করেছেন তিনি। তেলরঙের মাধ্যমে ছবি এঁকেছেন। জলরঙ, কাঠ-কয়লা দিয়েওড্রইং করেছেন। অকৃতদার এস এম সুলতান ছিলেন আত্মপ্রচারবিমুখ ও সংসারবিরাগী।
বরেণ্য এ শিল্পী কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ম্যান অব দ্য ইয়ার', নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে 'ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট' এবং এশিয়াউইক পত্রিকা থেকে 'ম্যান অব এশিয়া' পুরস্কার লাভ করেন। তা ছাড়া তিনি ১৯৮২ সালে একুশে ও ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। তিনি১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি এবং ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা পান।