সরবরাহ সংকটে হিলিতে পণ্যের দাম বৃদ্ধি, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

সরবরাহ সংকটের কারণে দিনাজপুরের হিলি বাজারে আলু, পেঁয়াজ, আদা ও ডিমের দাম বেড়েছে। মাত্র দুই দিনের মধ্যে প্রতিটি পণ্যের দাম ৪ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নিম্নআয়ের মানুষরা অতিরিক্ত চাপের মুখে পড়েছেন।
আজ রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে হিলি বাজার পরিদর্শন করলে দেখা যায়, দুই দিন আগে ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন কেজিপ্রতি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাশাপাশি ১০০ টাকায় পাওয়া যাওয়া আদার দাম বেড়ে ১৬০ টাকা এবং ১৪ টাকায় পাওয়া যাওয়া আলু এখন ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩০ পিস ডিমের দামও বেড়ে ২৮০ টাকার পরিবর্তে ৩২০ টাকা হয়েছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কেনার সময় রফিক নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘দুই দিন আগে ৫০ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছিলাম, আজ দাম শুনে অবাক হয়েছি—৭০ টাকা কেজি। আমাদের আয় তো বাড়ে না, কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।
সরকার যেন দাম কমায়।’
আরেক ক্রেতা আজাদ বলেন, ‘ডিমের দাম বাড়ায় আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমরা মাছ-মাংস কম খাই, তাই ডিমের দাম কম হলে ভালো হয়। আলী হাসান বলেন, ‘দুই দিনের মধ্যে দাম অনেক বেড়েছে।
১৪ টাকার আলু কিনতে গিয়ে ১৮ টাকা দিতে হচ্ছে, আর আদার দামও ৯০ থেকে ১৫০ টাকা হয়েছে। এভাবে দাম বাড়লে আমরা কী করব?’
হিলি বাজারের ব্যবসায়ী শাকিল আহমেদ বলেন, ‘দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। আগে ৪৮-৫০ টাকায় পেঁয়াজ কিনতাম, এখন ৬০-৬২ টাকায় কিনতে হচ্ছে, তাই দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। পেঁয়াজের দাম বেড়ে বিক্রি কমে গেছে। আদার সরবরাহ কম হওয়ায় সেটির দামও বেড়েছে।
’ এক ডিম ব্যবসায়ী জানান, খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে খামার মালিকরা ডিমের দাম বেশি নিচ্ছেন, তাই আমাদেরও বেশি দামে কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক নুর আলম বাবু বলেন, ‘দেশে দেশীয় পেঁয়াজের সংকট ও দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের কাছে অনুরোধ, পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) প্রদান করা হোক। এতে আমদানি বাড়িয়ে বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’