বিজিবি'র রেজুআমতলী বিওপি ছয় কোটি টাকার দুই লক্ষ পিস ইয়াবাসহ ৬ আসামীকে আটক করেছে
অদ্য ০৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর রেজুআমতলী বিওপি’র একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় ইয়াবা ব্যবসায়ী বিপুল পরিমান ইয়াবা নিয়ে মায়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে রেজুআমতলী বিওপির একটি বিশেষ আভিযানিক টহলদল বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৩নং ঘুমধুম ইউপি’র রেজুআমতলী আমবাগান নামক স্থানে ফাঁদ পেতে থাকে। পরবর্তীতে আনুমানিক ০৮৩০ ঘটিকায় সীমান্ত হতে ০৬ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে টহল দল তাদেরকে চ্যাঞ্জেল করলে তারা দৌড়ে পালানোর সময় আটক করে। অতঃপর নিম্নবর্ণিত ধৃত আসামীদের শরীর তল্লাশী করে কোমরে লুঙ্গি ও গামছা দ্বারা অতিকৌশলে লুকায়িত অবস্থায় আনুমানিক ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) পিস বার্মিজ ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। যার সিজার মূল্য ৬,০০,০০,০০০/- (ছয় কোটি) টাকা।
ক। মোঃ জয়নাল আবেদীন (২৫), পিতা-মোঃ মীর আহম্মেদ, গ্রাম-থ্যাইংখালী, পোষ্ট ও থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার। খ। মোঃ রহমত উল্লাহ (২৫), পিতা-ফকির আহম্মেদ, কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১, ব্লক-এ।গ। মোঃ মাহমুদুল হাসান (২১), পিতা-মোঃ নূর মোহাম্মদ, কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১, ব্লক-এ।ঘ। মোঃ সেলিম (২২), পিতা-আব্দুল আলিম, কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১, ব্লক-এ।ঙ। মোঃ আমিন (২২), পিতা-মোঃ সোনা আলী, কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১, ব্লক-এ।চ। মোঃ জিয়াবুল হক (২৬), পিতা- মৃত আলী হোসেন, কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১, ব্লক-এ।
এ ব্যাপারে ইয়াবাসহ আটককৃত আসামীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদকের বিরুদ্ধে ’জিরো টলারেন্স’’ নীতি ঘোষণার প্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাস এর মহামারির মধ্যেও বিজিবি তাদের নিজ কর্তব্যে অটুট থেকে দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে।