বিজিবি'র কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কর্তৃক তিন কোটি পনের লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের স্বর্ণালংকারহহ আটক একজন
করোনা ভাইরাস এর মহামারির মধ্যেও বিজিবি তাদের নিজ কর্তব্যে অটুট থেকে দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযানসহ সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারীরা যাতে বাংলাদেশ সরকারকে কর/ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে মালামাল পাচার করতে না পারে সে লক্ষ্যে বিজিবি প্রতিনিয়ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০১ নভেম্বর ২০২০ তারিখ রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর ঘুমধুম বিওপি’র সদস্যগণ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় চোরাকারবারীরা বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের চালান নিয়ে মায়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘুমধুম বিওপি’র একটি চৌকস আভিযানিক টহল দল কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার ৫নং পালংখালী ইউপি’র কুড়ারপাড়া এশিয়ান হাইওয়ে রোডস্থ ব্রীজের পার্শ্বে অবস্থান গ্রহণ করে। পরবর্তীতে আনুমানিক ১৯০০ ঘটিকায় ০১ জন ব্যক্তিকে সীমান্ত হতে পায়ে হেঁটে কুতুপালং এর দিকে আসতে দেখে সন্দেহভাজনভাবে তাকে আটক করে। অতঃপর ধৃত আসামী মোঃ কলিম (২১), পিতা-কবির আহম্মেদ, বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮, ব্লক-বি/৪৭ এর আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় টহল দল তার শরীর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশী করে কোমরে লুঙ্গির ভাঁজে অতিকৌশলে লুকায়িত অবস্থায় ৩,১৫,৩৫,৮৬৯ (তিন কোটি পনের লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার আটশত ঊনসত্তর) টাকা মূল্যমানের ৪৭১ ভরি ০৯ আনা ০৪ রতি বার্মিজ স্বর্ণ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য, কর/ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে বর্ণিত স্বর্ণালংকার চোরাচালানী কাজে জড়িত থাকায় উক্ত চোরাকারবারীকে আটক করতঃ উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে এবং তার নিকট হতে উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকার কক্সবাজার ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
