বিজিবি কর্তৃক ০১ জন আসামীসহ ৭১ হাজার পিস ইয়াবা বলেট উদ্ধার

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন  টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত পৃথক দুইটি অভিযানে ০১ জন আসামীসহ ২,১৩,০০,০০০/- (দুই কোটি তের লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৭১,০০০ (একাত্তর হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। 

নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, টেকনাফ উপজেলাধীন হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকায় পাচারের উদ্দেশ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট জমা করে লুকায়িত রাখা হয়েছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ হোয়াইক্যং বিওপি’র একটি বিশেষ টহলদল ১৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখ ১৯৩৫ ঘটিকায় দ্রুত বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে। তল্লাশীর এক পর্যায়ে টহলদল লম্বাবিল এলাকার মাছের প্রজেক্টের পাশে একটি পরিত্যক্ত বাঁশের ঘরের নিচে ছোট প্লাষ্টিকের বস্তা দেখতে পায়। উক্ত বস্তাটি দেখে সন্দেহ হওয়ায় টহলদল তা উদ্ধার করতঃ বস্তার ভিতর হতে ৯০,০০,০০০/- (নব্বই লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে ইয়াবা কারবারীদের আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা এবং তার পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তী ২১০০ ঘটিকা পর্যন্ত তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন ইয়াবা কারবারীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। উক্ত স্থানে কাউকে পাওয়া যায়নি বিধায় ইয়াবা কারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। 

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ লেদা বিওপি’র একটি একটি বিশেষ টহলদল ১৫ অক্টোবর ২০২০ তারিখ রাতে লেদা খাল এলাকায় নিয়মিত টহল পরিচালনা করছিল। পরবর্তীতে আনুমানিক ২০১৫ ঘটিকায় টহলদল লেদা খাল বিজিবি পোষ্ট হতে আনুমানিক ৪০০ মিটার দক্ষিণে লবণ মাঠের ভিতর দিয়ে ০২ (দুই) জন ব্যক্তিকে নাফ নদীর তীর হতে আসতে দেখে চ্যালেঞ্জ করে। উক্ত ব্যক্তিরা বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। টহলদল তাৎক্ষনাৎ তাদের ধাওয়া করলে ০১ (এক) জন ইয়াবা পাচারকারীকে তার পিঠে লুঙ্গি দ্বারা আবৃত অবস্থায় একটি বস্তাসহ আটক করতে সক্ষম হয় এবং অপর ০১ (এক) জন ইয়াবা পাচারকারী বেড়ী বাঁধের আঁড় ব্যবহার করে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ভিতর দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল কর্তৃক ইয়াবা পাচারকারীর সাথে থাকা বস্তাটি খুলে তার ভিতর হতে ১,২৩,০০,০০০/- (এক কোটি তেইশ লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৪১,০০০ (এক চল্লিশ হাজার)  পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও পালিয়ে যাওয়া ইয়াবা পাচারকারীকে আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও নদীর তীরসহ পার্শ্ববর্তী স্থানে পরবর্তী ২৩০০ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে আটকের করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আটককৃত আসামীর নাম ও ঠিকানা নিম্নরূপঃ
(১) সৈয়দ আলম (২২), পিতা-আব্দুস শুক্কুর, শেড নম্বর-৮৯৮, সি/৮ ব্লক, জামতলী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির, উখিয়া, কক্সবাজার। 
উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন ইয়াবাগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের ষ্টোরে জমা রাখা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম গ্রহণ পরবর্তীতে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে। এছাড়াও আটককৃত আসামীকে জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে।