বিজিবি'র কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কর্তৃক ৫৬টি স্বর্ণের বারসহ ৩ জন চোরাকারবারি আটক
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব জনিত মহামারির মধ্যেও তাদের নিজ কর্তব্যে অটুট থেকে দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযানসহ সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারীরা যাতে বাংলাদেশ সরকারকে কর/ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে মালামাল পাচার করতে না পারে সে লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ০১ অক্টোবর ২০২০ তারিখ কতিপয় চোরাকারবারীরা অবৈধভাবে বিপুল পরিমান স্বর্ণের চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে এনে সিএনজিযোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি'র কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর পালংখালী বিওপি’র সদস্যগণ কর্তৃক টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ২নং ইউপি’র কাঁটাখাল ব্রীজ (উলুবুনিয়া) নামক স্থানে যানবাহন তল্লাশীকালীন টেকনাফ হতে উখিয়াগামী একটি সিএনজিকে সন্দেহভাজনভাবে তল্লাশীর জন্য থামানো হয়। উক্ত সিএনজিটি তল্লাশীকালীন সময়ে সিএনজিতে থাকা ০৩ জন যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় বিজিবি টহলদল তাদেরকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশী করে বর্ণিত ব্যক্তিদের কোমরে লুঙ্গির ভাঁজে অতিকৌশলে লুকায়িত অবস্থায় ৫,৩০,৬৭,০০০/- (পাঁচ কোটি ত্রিশ লক্ষ সাতষট্টি হাজার) টাকা মূল্যমানের ৭৯৮ ভরি বার্মিজ স্বর্ণ (৫৬টি স্বর্ণের বার) উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উল্লেখ্য, কর/ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে বর্ণিত স্বর্ণ চোরাচালানী কাজে জড়িত থাকায় নিম্নবর্ণিত চোরাকারবারীদেরকে আটক করতঃ টেকনাফ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে এবং তাদের নিকট হতে উদ্ধারকৃত স্বর্ণ কক্সবাজার ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত ৩ জন আসামী হলো-
ক। মোঃ মনির আলম (২৬), পিতা-মোঃ ফয়েজ আহমেদ, গ্রাম-সৈকতপাড়া ১২নং ওয়ার্ড, পোস্ট+থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার।
খ। মোঃ নুর আহমেদ (৩৭), পিতা-মোঃ সৈয়দ নুর।
গ। মোঃ মামুনুর রশিদ (২৮), পিতা মোঃ নুরুল আলম, উভয়ের গ্রাম-হোয়াইক্যং পোস্ট-কাঞ্চনপাড়া, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।
