শিরোনাম

South east bank ad

ময়মনসিংহের সরকারি হাসপাতালে ডোপ টেস্টের কোনো ব্যবস্থা নেই

 প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মো. নজরুল ইসলাম, (ময়মনসসিংহ):

ময়মনসিংহ বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোতে মাদকাসক্ত নির্ণয়ে ডোপ টেস্টের কোনো ব্যবস্থা নেই। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন চাকরি ও ড্রাইভিং লাইসেন্সপ্রত্যাশীরা। লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সরকারি বাধ্যবাধকতা থাকায় বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে চার হাজার টাকায় ডোপ টেস্ট করতে বাধ্য হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। যেখানে সরকারি হাসপাতালে ৯শত টাকায় এই ডোপটেস্ট করার কথা রয়েছে।

ময়মনসিংহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮-এর ২৪ ধারায় মাদকাসক্ত নির্ণয়ের জন্য ডোপ টেস্টের বিষয়টি রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি চাকরি ও পরিবহন শ্রমিকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে মাদকাসক্ত নির্ণয় করার জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এক্ষেত্রে মাদকাসক্ত নির্ণয়ের জন্য এমফিটামিন টাইপ অব স্টুমুলেনটস (এটিএস) ডোপ টেস্ট করতে হয়। ময়মনসিংহের কোনও সরকারি হাসপাতালে ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা নেই। ফলে চাকরিপ্রার্থী ও ড্রাইভিং লাইসেন্সপ্রত্যাশীদের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ডোপ টেস্ট করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ভোগান্তি।

বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, সরকারি হাসপাতালে ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা না থাকায় ৭০ জন লাইসেন্সপ্রত্যাশীকে লাইসেন্স দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে এর মধ্যে পাঁচ জন ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে ডোপ টেস্ট করে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। বাকিরা এখনও জমা দিতে পারেননি। বিষয়েটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ময়মনসিংহ জেলা মটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আবদুস সালাম বলেন, বিভাগের কোনও সরকারি হাসপাতালে ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা না থাকায় পরিবহন শ্রমিকদের লাইসেন্স প্রাপ্তিতে বেশ সমস্যায়ে পড়তে হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে ডোপ টেস্ট করতে হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে যেখানে ৯০০ টাকা দিয়ে ডোপ টেস্ট করার কথা, সেখানে প্রাইভেট ক্লিনিকে চার হাজার টাকা দিয়ে টেস্ট হয়। এটি শ্রমিকদের জন্য দুর্ভোগ ছাড়া কিছুই নয়।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারি হাসপাতালে ৯০০ টাকা ফি দিয়ে ডোপ টেস্ট করার নির্দেশনা রয়েছে। তবে প্রাইভেট ক্লিনিকে টেস্ট করতে ব্যয় হয় চার হাজার টাকা। ময়মনসিংহ সরকারি হাসপাতালে টেস্টের ব্যবস্থা না থাকায় চাকরি ও ড্রাইভিং লাইসেন্সপ্রত্যাশীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদফতরে জানানো হয়েছে। তারা একটা ব্যবস্থা নেবে বলে আশা রাখছি।

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, হাসপাতালে মাদকাসক্ত নির্ণয়ের জন্য ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা নেই। ডোপ টেস্টের জন্য মেশিন বসাতে সরকারিভাবে নির্দেশনা পাওয়া গেছে। মেশিন বসানোর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। আরও কিছুদিন সময় লাগবে। কবে নাগাদ হবে পরীক্ষা শুরু করতে পারবো তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: