শিরোনাম

South east bank ad

আলোচিত লিজা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

 প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

শেখ জাহান রনি, (হবিগঞ্জ):

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আইলাবই গ্রামের আলোচিত শিশু কন্যা তাকমিনা আক্তার লিজা (৯) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), হবিগঞ্জ। পিবিআই সুত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২১ জুলাই ঈদ-উল-আযহার দিন সকালে লিজার মা সেলিনা বেগম তার মেয়েকে পাশের গন্ধব্যপুর গ্রামের একটি দোকান থেকে নুডুলস ও প্রয়োজনীয় কিছু দ্রব্য সামগ্রী কিনে আনার জন্য পাঠায়।

পরবর্তীতে তার মেয়ে নুডুলস নিয়ে বাড়ীতে ফিরে না আসলে আশেপাশের সম্ভাব্য সকল স্থানে ও আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে খোঁজাখুজি করে মেয়ের কোন সন্ধান না পেয়ে সেলিনা বেগম মাধবপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রী করেন। পরবর্তীতে গত ২৫ জুলাই অনুমানিক সকাল ১১টায় দুই জন মহিলা গ্রামের বাঁশ ঝাড়ের ভিতরে লাকড়ি কুড়াতে গিয়ে ভিকটিম লিজার অর্ধ-গলিত মৃতদেহ দেখতে পান এবং লিজার মা সেলিনা বেগমকে খবর দেন তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে তার মেয়ের অর্ধ-গলিত মৃতদেহ শনাক্ত করেন।

এর পর লিজার বাবা মোঃ সাগর আলী লিজাকে শ্বাসরুদ্ধ করে বা অন্য যেকোন ভাবে হত্যা করেছে মর্মে বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি অজ্ঞাতনামা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হবিগঞ্জ কে দেওয়া হলে পিবিআই হবিগঞ্জ ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার, মোঃ আল মামুন শিকদার এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহনেওয়াজ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বাহার উদ্দিন, খাদিজা আক্তার তাজরীন ও আমেনা খাতুন কে গ্রেফতার করেন। জানাযায় গ্রেফতারকৃত আসামী খাদিজা আক্তার তাজরীন এর ছোট ভাই তাকবীর হাসান (২০) এর সাথে পার্শ্ববর্তী বাড়ীর সিরাজের মেয়ে শান্তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

সম্পর্ক চলাকালীন সময় একদিন সন্ধ্যায় তাদের বাড়ীর পাশে শান্তা এবং তাকবীর দেখা করতে গেলে ভিকটিম লিজা তাদের দেখে ফেলে। পরবর্তীতে লিজা ঘটনাটি শান্তার মাকে জানায়। শান্তার মা বিষয়টি জানার পর শান্তাকে শাসন করে এবং শান্তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। একপর্যায়ে শান্তার সাথে তাকবীরের প্রেমের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেলে আসামি তাকবির লিজার উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে সুযোগ বুঝে পাশের গন্ধব্যপুর গ্রামের দোকান থেকে লিজা নুডুলস ও জর্দ্দার কৌটা কিনে বাড়ি ফেরার পথে তাকবীর নির্জন জায়গায় লিজা কে চকলেট এর লোভ দেখিয়ে ভুলিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সেখানে লিজাকে গলা টিপে হত্যা করে।

হত্যার পর লাশ তাকবীর তার পরিবারের সহায়তায় বস্তাবন্দি করে বসতঘরের পাশে গোয়ালঘরে লুকিয়ে রাখে। হত্যার ০৪ দিন পর লিজার মৃতদেহ থেকে দূর্গন্ধ বের হলে তাকবীর তার পরিবারের লোকজন ও আসামী বাহার উদ্দিন-এর সহায়তায় রাতের আঁধারে লিজার মৃত দেহটি আইলাবই গ্রামের একটি বাঁশ ঝাড়ের ভিতরে ফেলে দেয়। পিবিআই হবিগঞ্জ ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার, মোঃ আল মামুন শিকদারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আসামীদের কে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।এবং তারা নিজেদের দোষ স্বীকা

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: