প্রয়োজনে দখলদারদের কারাদণ্ড দেওয়া হবে: মেয়র তাপস
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দখলদারদেরকে কারাদণ্ড দিতে বাধ্য হবেন বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
গতকাল (০২ ফেব্রুয়ারি) বুধবার দুপুরে নগরীর শ্যামপুর এলাকায় শ্যামপুর খাল পরিষ্কার কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দখলদারদের বিরুদ্ধে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
শেখ তাপস বলেন, দখল ঢাকাবাসীর জন্য একটি বড় সমস্যা। দখলদারদের বিরুদ্ধে আমরা ভবিষ্যতে আরো কঠোর হব। প্রয়োজন হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আমরা তাদেরকে কারাদণ্ড দিতে বাধ্য হব।
খাল সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো খালগুলোকে সম্পূর্ণরূপে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা, রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা। যাতে করে বছর বছর নতুন করে খনন বা এগুলো অপসারণ করতে না হয়। সেই লক্ষ্যে আমরা একটি প্রকল্প জমা দিয়েছি। প্রকল্পটি প্লানিং কমিশন থেকে কিছু মতামত দিয়ে পাঠিয়েছে। আমরা সেগুলো আবার বিচার-বিশ্লেষণ-পর্যালোচনা করে জমা দেব।
সড়কের ওপর বিভিন্ন জায়গায় দখলদারদের স্থায়ী পার্কিং বাণিজ্য নিয়ে করা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যেখানেই দখল পাচ্ছি, সেখানেই অভিযান পরিচালনা করছি। সপ্তাহে পাঁচদিনই দখলমুক্ত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু ঢাকা শহরে এতো জনগোষ্ঠী, এতো জনসংখ্যার চাপ যে, দখল বাণিজ্য অত্যন্ত সংকট হিসেবে পরিণত হয়েছে। সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে চলছি।
জলাবদ্ধতা নিরসনে গতবারের চাইতে এবার আরো বেশি সুফল ঢাকাবাসীকে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মেয়র বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন, আমাদের আসলে অনেক পুঞ্জিভূত সংকট। আমরা একটা একটা করে সেগুলো সমাধানের দিকে এগিয়ে চলেছি। জলাবদ্ধতা ঢাকাবাসীর জন্য বড় সমস্যা। আমরা গতবছর কিছুটা সুফল দিতে পেরেছি। এবার আশাবাদী, আরেকটু বেশি সুফল দিতে পারব এবং দীর্ঘ মেয়াদী সমাধানের দিকে আগাতে পারব।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা, কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।