ঠাকুরগাঁওয়ে এ বছর নেই শীতের প্রকোপ
ফরিদুল ইসলাম রঞ্জু, (ঠাকুরগাঁও):
এবছর ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের প্রকোপ নেই বললেই চলে। ডিসেম্বর মাস শেষ হয়ে গেলেও নেই শীতের তীব্রতা। হিমালয়ের পাদদেশে উত্তরাঞ্চলের এই জেলায় বরাবরই নভেম্বরের শেষের দিকে বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা।
ডিসেম্বরে পড়ে হাড় কনকনে শীত। অথচ এবছর এখনো নেই শীতের তীব্রতা। গত ১৮ অক্টোবর -২০অক্টোবর টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে শীত অনুভূত হতে থাকে। ধারণা করা হচ্ছিলো এবছর বৃদ্ধি পাবে শীতের তীব্রতা। অথচ ডিসেম্বর মাস শেষ হলেও স্বাভাবিক শীত অনুভূত হচ্ছে এই জেলায়। আর এতে বিপাকে পড়েছে শীতের কাপড় ব্যাবসায়ীরা।
ঠাকুরগাঁও হকার্স মার্কেটের ব্যাবসায়ী মোঃ লালু বলেন,“ধারণা করেছিলাম এবছর একটু ব্যাবসা করে গত দুই বছরের ঘাটতি পুষিয়ে নেবো কিন্তু তা মনে হয় হচ্ছেনা। গত দুই বছর করোনার প্রভাব সর্বক্ষেত্রের ন্যায় আমাদের ব্যাবসাতে ব্যাপকভাবে পড়েছিল।এবছর করোনার প্রভাব কম।কিন্তু শীতের তীব্রতা না থাকায় মার্কেটে ক্রেতারা ভিড়ছেনা।”
একই সুরে বলেন ব্যাবসায়ী বাবু,“আমরা মাঠে মারা পড়ছি। জানুয়ারী মাসে যদি শীতের তীব্রতা না বাড়ে তবে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে। অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে।”
তবে শীতের তীব্রতা কমে খুশি সাধারণ মানুষ। তারা বলেন, “এই জেলায় শীতের তীব্রতায় ঘর থেকে বের হওয়া মুসকিল হয়ে পড়তো। বিশেষ করে রাতের বেলায় ঘর থেকে বের হওয়াতো দূরুহ ব্যাপার ছিল। কিন্তু এবছর আল্লাহর রহমতে শীতের তীব্রতা কমে আমরা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছি। “
সাংবাদিক বিধান বলেন, “মটরসাইকেল চালালে একটু শীত অনুভূত হয়। কিন্তু মোটরসাইকেল ছাড়া শীত সহনীয় পর্যায়ে আছে।”
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে শীতের তীব্রতা বাড়লে জেলা প্রশাসন প্রস্তুত শীতের প্রকোপ হতে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষদের রক্ষা করতে।