আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে বোমাবিস্ফোরণে আহত-১৫
এসএম আরাফাত হাসান, (মাদারীপুর):
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আপাং কাজির গ্রুপ এবং কবির খা গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই উভয় পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এসময় ব্যাপক গোলাগুলি সহ প্রায় শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গত ৩০ জুলাই মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মিরাজ হোসেনের পা বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায় আপং কাজীর লোকজন। পরে মিরাজের ভাই কবির খাঁ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এতে আপাং কাজীসহ ৩৫ জন ও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলায় নির্ধারিত তারিখ এ হাজির না হলে আসামিদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিজ্ঞ আদালত।
পরে কালকিনি থানা পুলিশ মামলার আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৪ ডিসেম্বর পা কাটা মামলার বাদীর চাচা একই এলাকার তিতাই খানের ছেলে লিয়াকত খানের দুই পা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে দেয় আসামিরা। স্থানীয় লোকজন আহত কৃষককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উক্ত ঘটনার পর থেকেই উভয় পক্ষের লোকজনের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। সেই জেড় ধরে শনিবার সকাল থেকে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আপাং কাজির গ্রুপের শহিদুল কাজী, জাহাঙ্গীর বেপারী,সুমন তালুকদার,মিরাজুল কাজী সহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। গোলাগুলি সহ বোমাবিস্ফোরন হওয়ায় পুরো এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে ঘটনা স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করছেন।পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে।
কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা.আনিকা তাছনিম জানান, আমাদের এখানে বোমা হামলায় আহত কয়েকজন রোগী এসেছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।
মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা জানান ,পিছনের একটি ঘটনা নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ান করেছি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
এমএফ