শিরোনাম

South east bank ad

সেতুর সংযোগ সড়ক স্থাপনে ব্যবহার হচ্ছে সেই নদীর বালু!

 প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মশিউর রহমান কাউসার, (গৌরীপুর) :

সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজে সেই নদীর বালু ব্যবহারের অভিযোগ ওঠেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। গত ৫দিন ধরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে সংযোগ সড়কে ফেলা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে নিরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে সেতুর সংযোগ সড়ক স্থাপনে মাটির জন্য বরাদ্দ থাকা সত্বেও নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনায় হতবাক পড়েছেন স্থানীয় লোকজন। এ যেন কৈয়ের তেলে কৈ ভাজা। ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সি.আই.বি প্রকল্পের আওতায় এলজিইডির বাস্তবায়নে স্থানীয় জলবুরুঙ্গা নদীতে প্রায় পৌনে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১শ মিটার গার্ডার সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণের চিত্র এটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য ড্রেজার মেশিন দিয়ে উল্লেখিত জলবরুঙ্গা নদী থেকেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সেতু থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূর থেকে পাইপ দিয়ে আনা হচ্ছে এ বালু। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে সেতুসহ নদীর আশপাশে বসবাসকারী বাসিন্দারা। এ নিয়ে স্থানীয় জনমনে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানান, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের মদদে স্থানীয় ইউপি সদস্য ভালুকাপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম, জজ মিয়া, সোহেল মিয়া, আবুল হাসেম ও সুমন মিয়াসহ ১০/১২ জনের একটি চক্রের সহযোগিতায় জলবুরুঙ্গা নদী থেকে অবৈধভাবে এ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

এ সেতু নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মুমিনুল হক স্বর্ণা ব্রিকস (জেবি) এর প্রতিনিধি আতিক জানান- সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের মাটি সংগ্রহের জন্য স্থানীয় শফিকুল ইসলাম মেম্বারকে সাব-কন্ট্রাক্ট দেয়া হয়েছে। মাটি কোথা থেকে আনা হচ্ছে তা দেখার বিষয় তাঁর উপর বর্তায় না।

শফিকুল ইসলাম মেম্বার সাংবাদিকদের জানান- সেতুর দুই পাশের গাইডাল ওয়ালে মাটি ভরাটের সাব কন্টাক পেয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ রেখেছেন তিনি।

এলজিইডি’র উপ সহকারী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, কিছুদিন পূর্বে এ সেতুর সংযোগ সড়কের জন্য নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হলে, এসিল্যান্ডের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়েছিল। বর্তমানে পুনরায় নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়টি তিনি জানেন না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মারুফ সাংবাদিকদের জানান- এ বিষয়ে তদন্তপূর্ব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

উল্লেখ্য ২০১৮ সনের ৪ মার্চ জলবুরুঙ্গা নদীর উপর জনগণের বহুল প্রত্যাশিত সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ এমপি। সি.আই.বি প্রকল্পের আওতায় এলজিইডির বাস্তবায়নে ৪ কোটি ৭০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৮২ টাকায় সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মুমিনুল হক স্বর্ণা ব্রিকস (জেবি)।

এদিকে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের ৩ বছরের অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও টিকাদারের গাফিলতির কারনে শেষ হয়নি এ সেতুর নির্মাণ কাজ।

উপজেলা প্রকৌশলী আবু সালেহ মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ জানান, জলবুরুঙ্গা সেতুর প্রায় ৯০ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এতে বাকী রয়েছে ব্রীজের দু’পাশে ১শ মিটার সংযোগ সড়ক, ব্রীজের উপর রেলিং নির্মাণ ও রঙের কাজ। এ কাজগুলো সম্পন্ন হলে ব্রীজের উদ্বোধন করা যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: