বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকান্ড একই ষড়যন্ত্রের অংশ: মজনু
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনু বলেছেন, বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতেই আজ থেকে ৪৬ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ জাতির চার শ্রেষ্ঠ সন্তান, মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এমন জঘন্য, নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর এ হত্যাকান্ডের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে জেলহত্যা মামলার প্রক্রিয়া শুরু করেন।
তিনি আরো বলেন, ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকান্ড ছিল একই ষড়যন্ত্রের অংশ। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির দোসররা আজ আবারও সক্রিয়। বিভিন্নভাবে তারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে, এই ষড়যন্ত্রকারীদের যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করার জন্য সব সময় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
বুধবার সকাল আটটায় দলীয় কার্যালয় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জেল হত্যা দিবসের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি শেষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, ডা মকবুল হোসেন, টি জামান নিকেতা, প্রদীপ কুমার রায়, মঞ্জুরুল আলম মোহন, একেএম আসাদুর রহমান দুলু, সাগর কুমার রায়, অ্যাভোকেট জাকির হোসেন নবাব, অধ্যক্ষ শাহাদাত আলম ঝুনু, সুলতান মাহমুদ খান রনি, আল-রাজী জুয়েল, শফিকুল ইসলাম আক্কাস, নাসরিন রহমান সিমা, মাশরাফি হিরো, খাদিজা খাতুন শেফালী, ডালিয়া নাসরিন রিক্তা, নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, অসীম কুমার রায়সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।