শয়ন কক্ষ থেকে নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
আমিনুল ইসলাম জুয়েল, (রংপুর) :
রংপুরের তারাগঞ্জে নিজ শয়ন কক্ষ থেকে সালমা আক্তার পুটি (৪৫) নামে এক নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার(২৯ অক্টোবর) সকাল আটটায় দিকে উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের মাদ্রাসাপাড়া গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) সিফাত-ই-রাব্বানী, পিবিআই ও সিআইডি টিম।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাতের খাওয়া শেষে সালমা ও তার স্বামী আব্দুল্ল্যাহসহ তাদের নিজ শয়ন ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে আব্দুল্ল্যাহ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হন। কয়েক মিনিট পর ঘরে ফিরে তার স্ত্রী পুটিকে গলা কাটা অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে ঘরের বিছানায় পুটির গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
পার্শ্ববর্তী মন্ডলপাড়া গ্রামে বসবাসরত পুটির ছোট ভাই ভুট্টু মিয়া জানান, আমার বোন আব্দুল্ল্যাহর দ্বিতীয় স্ত্রী। তার প্রথম স্ত্রী হোসনেআরার সংসারে আশরাফুল ইসলাম ফকির (৩৫) নামের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
তিনি আরো জানান,বেশ কয়েকদিন ধরে আমার বোনের সাথে তাদের গরু বিক্রির টাকা ও বসত ভিটার জমি নিয়ে মনোমালিন্য চলে আসছিল। আমার সন্দেহ আব্দুল্ল্যাহ ও তার ছেলে ফকির মিলে আমার বোনকে হত্যা করেছে। ঘটনার পর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে আমার ভাগিনা লাভলু (১৫) ও শাহীন (১৩) আমার বাড়িতে গিয়ে খবর দেয়। খবর পেয়ে আমি সাথে সাথেই এখানে চলে আসি। আব্দুল্ল্যাহর উপর আমার সন্দেহ থাকায় আমি এখানে এসেই আব্দুল্ল্যাহকে বেঁধে রাখি। পরে পুলিশ এসে নিয়ে যায়।
তারাগঞ্জ থানার ওসি ফারুক আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী আব্দুল্ল্যাহকে আটক করা হয়েছে।