শিরোনাম

South east bank ad

নারী শ্রমিককে এসিড দিয়ে হত্যায় জবানবন্দি

 প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

গোলাম মোস্তফা মুন্না, (যশোর) :

বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় এসিড দিয়ে হত্যা করার স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন অভয়নগর উপজেলার এসএএফ ইন্ডস্ট্রিজ লি. এর শ্রমিক শামীম হোসেন। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দীন হোসাইন এ জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। শামীম হোসেন উপজেলার রাজঘাট মাইলপোস্ট এলাকার খন্দকার মোশারফ হোসেনের ছেলে। নিহত কেয়া খাতুন উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের কাদিরপাড়া গ্রামের মৃত আবুল কালামের মেয়ে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকরা জানান, সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে টিফিনের সময় মিলের ভেতরে ক্যান্টিনে পাশে কেয়া বসে ছিল। এসময় শামীম এসে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হলে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে শামীম তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে কেয়ার মাথায় আঘাত করে। কেয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মিলের ভেতর থেকে একটি মগে এসিড এনে তার শরীর ও মুখে ঢেলে দেয়। কেয়ার চিৎকারে ক্যান্টিনের ভেতরে থাকা শ্রমিকরা এগিয়ে এসে শামীমকে ধরে মিল কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। কর্তৃপক্ষ আহত কেয়াকে খুলনা আদ-দ্বীন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় এবং শামীমকে অভয়নগর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।

নিহত কেয়ার মামা হাবিবুর রহমান মজুমদার জানান, সোমবার দিন সন্ধ্যায় খুলনার আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কেয়া মারা যায়। সে স্বামী পরিত্যক্তা ছিল। গত ১০ বছর ধরে ১১ বছর বয়সি একটি কন্যা সন্তান নিয়ে সে গ্রামে বসবাস করে আসছে। মিলে চাকরি করায় একই মিলের শ্রমিক শামীম দীর্ঘদিন ধরে কেয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। রাজি না হওয়ায় শামীম তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। খুনি শামীমের ফাঁসি দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামীম হাসান জানান, পরকীয়া প্রেমের কারণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আটক শামীম ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: