নাটোরে একটি ব্রিজের অভাবে পাঁচ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ
মো: রবিউল ইসলাম, (নাটোর) :
নাটোরের সিংড়া উপজেলার ৫ নং চামারী ইউনিয়নের অবহেলিত গ্রাম আনন্দনগর। আত্রাই নদী ও চলনবিল দিয়ে চারিপাশে ঘেরা এই গ্রাম। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে এ গ্রামের মানুষের মনে সুখ নাই, হারিয়ে গেছে আনন্দ। শুস্ক মৌসুম কিংবা বর্ষা মৌসুম ১২ মাসেই দুর্ভোগ লেগেই থাকে। রাস্তাঘাট না থাকার কারনে একদিকে কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য পায় না। অপরদিকে স্বাস্থ্য, শিক্ষায় পিছিয়ে গ্রামের মানুষ।
এজন্য আনন্দনগর ও কৃষ্ণনগর জলার উপর ব্রিজ নির্মানের দাবি হাজার হাজার মানুষের। প্রতিবছর বন্যায় নদী ভাঙ্গনের কবলে বাড়িঘর ভেঙ্গে যায়। ব্রিজ এবং গ্রাম রক্ষা বাঁধের দাবি স্থানীয়দের।
গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করে অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কোন রকম চলাচল করছে।
আনন্দনগর গ্রাম দিয়ে বয়ে গেছে একটি রাস্তা। যার কিছু অংশ ইট পারা, বাঁকি অংশ বর্ষায় ডুবে যায় আর শুস্ক মৌসুমে বৃষ্টি হলে চলাচল করা দুঃসহ হয়ে পড়ে। এ রাস্তা দিয়ে কৃষ্ণনগর গ্রামের মানুষ ছাড়াও ডাহিয়া, বেড়াবাড়ী, পানলি, কাউয়াটিকরি, আয়েস, বিয়াস এবং বারুহাস এর লোকজন বিলদহর বাজারে নিয়মিত যাতায়াত করে। দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়।
চলন বিলের বৃহৎ অংশ হাজার হাজার টন ধান এই রাস্তা দিয়ে বাজারে নিয়ে ক্রয় বিক্রয় হয়। কিন্তু রাস্তার কারনে দাম পায় না কৃষকরা।
জানা যায়, আনন্দনগর গ্রামে ৭টি মসজিদ রয়েছে , একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ টি ব্র্যাক স্কুল, ১ টি মাদ্রাসা , ১ টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। জনসংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। সরকারি এবং বেসরকারি চাকরিজীবী প্রায় শতাধিক। এছাড়া ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ রয়েছে। বর্ষায় সময় রাস্তা ডুবে যায়, নৌকার অভাবে কিংবা নিরাপত্তার ভয়ে ছেলে মেয়েরা ক্লাসে যেতে পারে না।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এলাকার ছেলেমেয়েদের ভালো জায়গায় বিয়ে হয় না। চিকিৎসা সেবার অভাবে রাস্তায় মারা যায়। শুস্ক মৌসুমে মাচায় করে আর বর্ষায় নৌকা ছাড়া চলাচলের উপায় থাকে না। কোনো রকম যানবাহন চলাচল করতে পারে না।
চামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম মৃধা জানান, আনন্দনগর অবহেলিত গ্রাম। আমরা বন্যার সময় ঐ এলাকার জনসাধারণকে সাহায্য সহযোগিতা করেছি। জনসাধারণের দীর্ঘদিনের দাবি একটা ব্রিজ নির্মানের জন্য। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি মহোদয় ও বিষয়টি অবগত আছেন৷ দ্রুত সময়ে আমরা আশা করি একটা ফলাফল পাবো।