শিরোনাম

South east bank ad

অবৈধ ‘চায়নাদুয়ারী’ ও ‘কারেন্টজাল’ দিয়ে পোনামাছ নিধন চলছে

 প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

সাব্বির হোসেন সাইফুল, (মানিকগঞ্জ) :

মানিকগঞ্জ জেলার সর্বত্র অবাধে অপরিপক্কমাছ, পোনামাছ, এমনকি ধানীপোনা নিধন চলছে। অসংখ্য জলমহাল ক্ষুদ্র ফাঁসযুক্ত অবৈধ চায়নাদুয়ারী ও কাটেন্টজালে সয়লাব, এই জালে কেবল ছোট বড় মাছ নয়, রেনুপোনার চেয়ে সামান্য বড় ধানিপোনাও আটকে পড়ে, কারেন্টজাল আগে থেকেই ছিল নতুন যুক্ত হয়েছে "চায়নাদুয়ারী" নামের ফাঁদ জাল, ফলে উন্মুক্ত জলাশয়গুলোতে আগের মত মাছ উৎপাদন হচ্ছেই না, অথচ এক সময়ের মৎস্য উদ্বৃত্ত্ব মানিকগঞ্জ জেলায় আজ বার্ষিক প্রায় তিনশ মেট্রিকটন মাছের ঘাটতি ।দেশের বৃহৎ দুটি নদী পদ্মা ও যমুনা সহ কালীগঙ্গা, ধলেশ্বরী, ইছামতী, গাজীখালী নদী, হাওর, বাওর, বিল, ঝিল সহ চলতি বর্ষা-বন্যা মৌসুমে যেখানে পানি আছে সেখানেই একশ্রেণির মানুষ এসব জাল ব্যবহার করছে।

সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে, শিবালয় উপজেলার তেওতা নালী উথলি, ঘিওর উপজেলার সিংজুরি বরাটিয়া বালিয়াখোড়া, দৌলতপুর উপজেলার খুলশি ধামশ্বর কলিয়া, হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা গোপীনাথপুর ধুলশুড়া, সিঙ্গাইর উপজেলার জামসা সায়েস্তা বলধারা, সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ দরগ্রাম তিল্লী ইউনিয়ন, সদর উপজেলার দীঘি হাটিপাড়া কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন এলাকায় ব্যাপক ভাবে চলছে, দিনরাত এসব জাল দিয়ে মাছ ধরে, কোথাও সন্ধায় পাতে ভোরে উঠিয়ে মাছ বাজারজাত করে।

বরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ ইছহাক আলী আক্ষেপ করে বলেন, মাছ বড় হওয়ার সুযোগই পাচ্ছে না, এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হতে পারে, দরগ্রামের গোপাল রাজবংশী বলেন, আমরা গরীব মানুষ জলাশয়গুলোতে এভাবে পুনামাছ নিধন হলে পেট চলবে কিভাবে, আমাদেরতো পুকুর নেই।

এ বিষয়ে, মানিকগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমান জানান, চায়না দুয়ারী ও কারেন্ট জাল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কিছু কিছু অভিযান হচ্ছে তবে পর্যাপ্ত না, জোরদার ব্যবস্থা নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট সহযোগিতা চেয়ে অনুরোধ করেছি। আর এ জেলায় মাছের ঘাটতির কারণ এসব জালের পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত পানি, মাছ চাষের জন্যে যথাযথ পিএইচ সহ উপযুক্ত পানি ৫-৭ফুট হলে ভাল হয়, কিন্তু এখানে দেখা যায় কখনো ১৮-২০ফুট আবার ১-২ফুট বা নাই।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: