অদম্য গীতার পাশে পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার
মেয়েটির নাম গীতা (ছদ্মনাম)। বাবা দরিদ্র ভ্যানচালক। থাকেন অন্যের জমিতে। নিজের সংসার চালাতেই হিমশিম তার উপর মেয়ের পড়াশোনার খরচ। কিন্তু পাড়ার সবাই বলে তার মেয়ের অনেক মেধা, তাই শত কষ্টেও ভ্যানচালক বাবা তার মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মেয়েটিও সংগ্রামী। পড়াশুনার পাশাপাশি টিউশন করে নিজের ও বাবার পাশে দাড়িয়েছিলো। এবার সে রংপুরের একটি কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে ৪.৫৮ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে। তার চোখে অনেক বড় স্বপ্ন, সে উচ্চশিক্ষিত হবে, নিজের পায়ে দাঁড়াবে। কিন্তু এর আগেই ঘটে যায় এক দুর্ঘটনা। ভ্যান চালাতে গিয়ে একদিন এক এক্সিডেন্টে তার বাবার পা ভেঙে যায়। বাবার চিকিৎসায় সংসারের সব সঞ্চয় চলে যায়, অনেকটা ধার কর্য করেই কোনও রকমে দিন চলে। এদিকে করোনার কারণে তার টিউশনও নেই। এর মাঝে অনার্সে ভর্তির শেষ দিন ঘনিয়ে আসে, হাতে মাত্র ১ দিন কিন্তু টাকার অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পরে। হয়তো তার আর ভর্তি হওয়া হবে না, স্বপ্নভঙ্গের এই দুশ্চিন্তায় তার ঘুম আসে না।
গীতার জীবনের এই গল্প রংপুরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ পুলিশের আইডল, রংপুর জেলা পুলিশের অভিভাবক, মানবিক পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার), পিপিএম এর কাছে। সব শুনে তিনি অদম্য গীতার ভর্তির দায়িত্ব নেন। পুলিশ সুপার এর নির্দেশে সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) ও অতিরিক্ত দায়িত্ব, সি সার্কেল মোঃ আশরাফুল আলম পলাশ গীতা ও তার বাবার হাতে গীতার ভর্তি ও পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় খরচ দিয়ে আসেন। রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১) গীতা রংপুর বেগম রোকেয়া সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছে।
এসপি বিপ্লব কুমার সরকারের মহানুভবতায় গীতা পড়ালেখার সুযোগ পেয়ে অনেক খুশি।