শিরোনাম

South east bank ad

এই প্রথম লবনাক্ত এলাকায় ঘেরের পাড়ে গ্রীষ্ণকালীন হলুদ তরমুজের বাম্পার ফলন

 প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ঘেরের পাড়ের লবনাক্ত জমিতে প্রথমবারের মতো গ্রীষ্মকালীন তরমুজের আবাদ হয়েছে। ইউটিউবে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েই একই জমিতে ব্যতিক্রমী হলুদ, কালো ও সাদা রঙ্গের তরমুজ আবাদ করেন দেবরাজ গ্রামের চাষী মোঃ জাকির শেখ। আর এই তরমুজ আবাদ করে রীতিমত এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। কৃষি বিভাগ বলছে, জাকির শেখের এই ক্ষেত দেখে আরো অনেক কৃষক গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

সরেজমিনে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার দেবরাজ গ্রামের চাষী মোঃ জাকির শেখের কৃষি ক্ষেতে গিয়ে দেখাগেছে, একই মাচায় দুলছে হলুদ, কালো ও সাদা রঙ্গের তরমুজ। প্রথমবারের মত ঘেরের পাড়ে লবনাক্ত পতিত জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ আবাদ করে সফল হয়েছেন তিনি। হলুদ তরমুজের আবাদ এই অঞ্চলে প্রথম। দেখতে যেমন সুন্দর, মিস্টি ও স্বাদ অন্য জাতের তরমুজ থেকে অনেক বেশি। স্থানীয় ভাবে হলুদ তরমুজের নাম দেয়া হয়েছে “ মধুমালা”।

কৃষক মো: জাকির শেখ জানান, তিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্সে শ্রমিকের কাজ করতে। সেখান থেকে নিজ এলকায় ফিরে এসে মাছ চাষ ও কৃষি খামার শুরু করেন। তিনি মাছের ঘেরের পাড়ে সব্জি চাষ শুরু করেন। লাউ, চালকুমড়াসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ করতে। কম খরচে বেশি লাভবান হওয়ার পদ্ধতি তিনি খুঁজতে শুরু করেন। একপর্যায়ে ইউটিউবে ভিডিও দেখেই অনুপ্রাণিত হয়ে হলুদ জাতের তরমুজ আবাদ শুরু করেন জাকির শেখ। প্রথম বছর ১ একর ১০ শতাংশ জমিতে এই তরমুজ আবাদ করেছেন তিনি। এতে তার জমি প্রস্তুত, সার, বীজসহ আনুসাঙ্গিক খরচ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। খরচ বাদে এবছর তার আয় হবে ২ লক্ষাধিক টাকা এমনটা মনে করছেন তিনি। বৈচিত্রময় এই তরমুজ দেখেতে প্রতিদিনই আসছেন স্থানীয়রা। গ্রীষ্মকালীন তরমুজের এমন বাম্পার ফলন দেখে আগ্রহী হচ্ছেন অনেক কৃষক।

স্থানীয় কৃষকআবুল কালাম জানান, ‘প্রথম থেকেই আমি জাকির শেখের কৃশি ক্ষেতে এসে এই তরমুজের আবাদ দেখেছি। এবছরই আমিও একই ভাবে তরমুজ চাষ করবো।

কৃষক কামরুল মুন্সি জানান, স্থানীয়দের কাছে শুনে তিনি জাকির শেখের খামার দেখেছেন। অনেক পছন্দ হয়েছে তরমুজ চাষ। আগামী বছর তিনি ৩ একর জমিতে এই তরমুজের আবাদ করবেন।

শিমুল হাওলাদার জানান, এই অঞ্চলের মধ্যে এই ধরনের তরমুজ চাষ প্রথম। কৃষক জাকির শেখ এই তরমুজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। তিনিও এই তরমুজ চাষ করবেন।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দিপংকর মজুমদার জানান, প্রথম থেকে সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। এই তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন কৃষক জাকির শেখ। আগামীকে অনেক কৃষক তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

পঞ্চকরণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আঃ রাজ্জাক মজুমদার জানান, নতুন এই জাতের তরমুজ আবাদে ভাল লাভ হবে। তাই ইউনিয়নব্যাপী চাষীদের উদ্বদ্ধ করা হবে এই জাতের তরমুজ আবাদ করার জন্য।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ একটি লাভজনক ফসল, বাগেরহাটের চাষীদের মাঝে এটির চাষ ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। সকল আগ্রহী কৃষকদের সাধ্যমত সহযোগীতা করা হবে। গ্রীষ্মকালীন হলুদ তরমুজ কৃষকদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে ভুমিকা রাখবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: