শিমুলিয়ায় ১৯ দিন ফেরি চলাচল বন্ধ
কায়সার সামির, (মুন্সীগঞ্জ) :
পদ্মা নদীর নাব্য সঙ্কটের কারণে মন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি নতুন নৌরুটে ফেরি চলাচল এখনো শুরু করা যায়নি। এতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানষের দুর্ভোগ বেড়েছে। প্রচুন্ড স্রোতে পদ্মা সেতুর পিলারে বার বার ধাক্কার ঘটনায় গত ১৯ আগস্ট থেকে মন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌরুট বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
পরে বাংলাবাজার ঘাটের পরিবর্তে শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি ঘাট স্থাপন করে শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি রুট সচল করার উদ্যোগ নিলেও নাব্য সংকটে সচল করা সম্ভব হয়নি। পদ্মার মাঝ নদীর চর ভেঙ্গে নতুন এ নৌরুটে পলি জমে নাব্য সৃষ্টি হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়।
এদিকে দীর্ঘ ১৯ দিন ফেরি বন্ধ থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানষের রাজধানী ঢাকার সাথে সড়ক পথে যোগাযোগে অবর্ণনীয় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অনেকে প্রচুন্ড স্রোতের মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। অনেকে আবার ঘুরে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাতায়াত করছেন। অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী যানবাহন ও ব্যক্তিগত গাড়িসহ জরুরী যানবাহন ওই রুট দিয়ে চলাচল করছেন। এতে সময় ও অর্থ কয়েকগুণ বেশি ব্যয় হচ্ছে।
জানা যায়, সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রকৌশলীরা এই নৌরুটে পানি পরিমাপ করে কিছু কিছু স্থানে মাত্র ৪-৫ ফুট পানির গভীরতা পাওয়ায় নতুন এরুটে ফেরি চলাচল সচল করতে পারেননি। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীরা সম্প্রতি অনলাইন মিটিংয়ে অংশ নিলেও নাব্য সংকটের কারণে ফেরি চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি ফেরিঘাট স্থাপনের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দাবি দ্রুত এই নৌরুট চালু করার।