শিরোনাম

South east bank ad

ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেলেন মা, বেঁচে গেল কোলে থাকা ২২ মাসের শিশু

 প্রকাশ: ০১ জানুয়ারী ১৯৭০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

রাসেল আহমেদ( ময়মনসিংহ):

কো ২২ মাসের শিশু সন্তান নিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে তিন টুকরা হয়ে মারা গেলেন আকলিমা খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধু। অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল কুলের শিশুটি। শিশুটি বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। শিশুটির বুকের ৮ টি হাড় ভেঙ্গে গেছে, শিশুটির জ্ঞান ফিরেনি এখনো।

নিহত আকলিমা খাতুন ভৈরব উপজেলার কুলিয়ার চড় আহম্মদপুর এলাকার এবাদত শেখের মেয়ে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে ভৈরব উপজেলার শম্ভুপুর রেলওয়ে রেলক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক বলেন, বিষয়টি ভৈরব প্রশাসন থেকে জানানোর পর জেলা প্রশাসক এনামুল হক জেলা প্রশাসন থেকে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সকল ব্যয় বহন করার নির্দেশ দেন এবং তিনি নিজে মমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন।

তিনি আরও বলেন, বাচ্চাটির বুকের ৮ টি হাড় ভেঙ্গে গেছে, শিশুটির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। শিশুটির সুস্থ্যতার জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।

এ বিষয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, জেলা প্রশাসক মো. এনামুল হকের নির্দেশে নিয়মিত বাচ্চাটিকে দেখাশোনা করা হচ্ছে। তবে, এখন শিশুটির অবস্থা খুব সংকটাপন্ন।

এ বিষয়ে ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদৌস আহমেদ বলেন, উপজেলার শম্ভুপুর রেলক্রসিং এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে ওই গৃহবধু মারা যায়। তবে, তার কুলে থাকা ২২ মাসের মেয়ে শিশুটি বেঁচে যায়। প্রথমে শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হলেও তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসক ওই দিনই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে ফেরদৌস মিয়া নামে একজন পুলিশ সদস্যকে দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে ভৈরব রেলওয়ে থানার এসআই ফেরদৌস মিয়া বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬ টার দিকে শিশুটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: