শিরোনাম

South east bank ad

সখীপুরে সংখ্যালঘু একটি পরিবারকে একঘরে করার অভিযোগ

 প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মো: আবু জুবায়ের উজ্জল (টাঙ্গাইল):

টাঙ্গাইলে জোরপূর্বক জমি দখলের প্রতিবাদ করায় সংখ্যালঘু একটি পরিবারকে একঘরে করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সখীপুর উপজেলার বড়চওনা গ্রামে। আপন চাচাদের রোষানলে পড়ে অসুস্থ বাবাকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে মল্লিকা কর্মকার নুপুর তার পরিবার নিয়ে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে অভিযুক্ত প্রাণ কৃষ্ণ কর্মকার ও গোপাল কর্মকারের বিচার দাবি করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না এই ভুক্তভোগী পরিবার।

তাদের দাবি, গত এক সপ্তাহ ধরে অন্যায়ভাবে তাদের সমাজবাসীদের সাথে মেলামেশা যাতায়াত চলাফেরা এবং বাড়ি থেকে বের হতে বাধা দিয়ে এক ঘরে করে রেখেছেন।

জানা যায়, ওই এলাকার মৃত নারায়ণ চন্দ্রের তিন ছেলে নির্মল চন্দ্র কর্মকার এর সাথে অপর দুই ভাই প্রাণ কৃষ্ণ ও গোপাল কর্মকারের সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত ১৮ জুন শুক্রবার সকালে বড়চওনা মৌজার ৪৫ দাগের ওই জমিতে প্রাণ ও গোপাল চন্দ্র জোর করে ঘর তুলতে যায়। এতে বাধা দিতে গেলে নির্মল চন্দ্রকে হুমকি ও তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে নুপুরকে শারিরিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের ওই ভিডিও সারাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
নির্মল চন্দ্রের মেয়ে মল্লিকা কর্মকার নুপুর বলেন, বাবা অসুস্থ। এ সুযোগে চাচারা আমাদের ভাগের জমি বুঝিয়ে না দিয়েই জোর করে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমাদের নিজস্ব জমিতে ঘর তুলতে গেলেও তারা বাধা দিচ্ছেন। এতে আমি বাধা দিলে কথাকাটাটির এক পর্যায়ে আমাকে শারিরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়। এতেও তাদের সাধ মিটেনি তারা সামাজিকভাবে গত এক সপ্তাহ ধরে আমাদেরকে একঘরে করে রেখেছেন। অসুস্থ বাবাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারছিনা। বাড়ির গেইট পর্যন্ত বেড় হলেই হুমকি ধামকি দিচ্ছে। বাবার চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন জমি বিক্রি করতে চাইলে তারা বাধা দিচ্ছেন। দিনদিনই বাবার অসুস্থতা বেড়ে যাচ্ছে। প্রশাসনসহ দেশবাসির কাছে এর সুষ্ঠবিচার দাবী করেছেন তিনি।

বড়চওনা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুশীল চন্দ্র কোচ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। ভাই ভাইদের ব্যাপার বলে আমরা এ বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ করিনি।

৪ নং ওয়ার্ড ও বড়চওনা গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, জমি নিয়ে ভাই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে কোন পক্ষ মেনে না নেয়ায় সমাধান দিতে পারিনি।

কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম কামরুল হাসান হারেজ বলেন, কাউকে একঘরে রাখা অমানবিক কাজ। এ বিয়য়ে মৌখিক ভাবে ভুক্তভোগি নুপুর আমার কাছে অভিযোগ করেছিল। বিষয়টি মিমাংসার জন্য স্থানীয় মেম্বারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। বর্তমানে বিষয়টি কোন পর্যায়ে আছে সেটি আমি জানি না।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে সাইদুল হক ভূইয়া বলেন, এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: