শিরোনাম

South east bank ad

কালিহাতীতে দরিদ্রদের ঘর পাইয়ে দেয়ার নামে প্রতারণা

 প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মো: আবু জুবায়ের উজ্জ্বল (টাঙ্গাইল):

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নে প্রতারণার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্পের নাম ভাঙ্গিয়ে ঘর পাইয়ে দিতে প্রতারণা করে দুস্থ ও অসহায়দের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। প্রতারক চক্রের মূল হোতা ভূঞাপুর উপজেলার আমূলা গ্রামের ফয়সাল আহমেদ ও কালিহাতী উপজেলার নগরবাড়ী গ্রামের শ্যামল চন্দ্র দাস। তাদের বিরুদ্ধে অসহায় ও দরিদ্র লোকদের টার্গেট করে পাকা ঘর পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন লোকের নিকট থেকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, ফয়সাল, শ্যামল, নিমাইসহ তাদের কিছু লোকজন দুই শতাধিক পরিবারের কাছ থেকে পাকা ভবন নির্মাণ করে দেয়ার কথা বলে প্রতিজনের কাছ থেকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার করে টাকা করে আদায় করেছেন। ইতিমধ্যে ভূক্তভোগীদের আস্থা অর্জন করতে সিংগুরিয়া বাজার সংলগ্ন একটি বাড়িতে পাকা ঘর নির্মাণের কাজ করেছে।

ঘর পাওয়ার আশায় টাকা প্রদানকারী বিলকাচিনার মিন্টু মিয়ার ছেলে হুমায়ুন, আব্দুর রহিমের ছেলে চঁান মিয়া, আ: কাদেরের ছেলে কামাল হোসেন, শমসের আলী ছেলে আমিনুর, যদুরপাড়ার হাছেন আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ, শামসুল হকের ছেলে হাবিব, তালতলার শরবেশ আলীর ছেলে আলম, সিংগুরিয়ার মতিলালের ছেলে ফোরেন ও সুজন জানান, তারা দরিদ্র অসহায় বিধায় পাকা ঘর তৈরি করার মত প্রয়োজনীয় টাকা তাদের নেই। ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে পাকা ঘর পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফয়সাল, শ্যামল ও নিমাই তাদের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। এখন ঘর নির্মাণের জন্য তাগিদ দিলে তারা বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপন করছে।

ঘর দেয়ার নামে অর্থ গ্রহণকারী ফয়সাল ও শ্যামল চন্দ্র দাস জানান, আমরা কিছু লোকের কাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে নিয়েছি। ঘর তৈরি করার প্রকল্পের কাজে ঘোরাফেরা করতে অনেক টাকা খরচ হয়। এ কারণে আমরা উপকারভোগীদের কাছ থেকে কিছু টাকা খরচ বাবদ নিয়েছি।

সংগুরিয়ার গ্রামের হুমায়ুনের মেয়ের জামাতা তরিকুল বলেন, ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ফয়সাল ও শ্যামলের নিকট থেকে আমরা একটি ঘর পেয়েছি। ঘরের ৫০ ভাগ শেষ হয়েছে। ঘর পেয়ে আমরা খুব খুশি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা তানজিন অন্তরা বলেন, কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে ঘর দিয়ে সহযোগিতা করতে চায় তবে পারবে। তবে অর্থের বিনিময়ে সরকারি ঘর পাইয়ে দেয়ার নাম করে কেউ প্রতারণা করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শুকুর মামুদ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে স্থানীয়ভাবে তদন্ত করে ওই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: