গোপালগঞ্জে ৬ দফা দিবস পালিত
মেহের মামুন (গোপালগঞ্জ) :
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস পালিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদীতে পুস্পমাল্য অর্পন করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগষ্ট পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবুল বাশার খায়ের, সাধারন সম্পাদক মো: বাবুল শেখ, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল মেয়র এমদাদুল হক বিশ্বাস, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক ফোকরান বিশ্বাসসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একডেমিক ভবনে ‘বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা : বাংলাদেশের চূড়ান্ত মুক্তির কর্মসূচি’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ.কিউ.এম মাহবুবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় ৬ দফার তাৎপর্য তুলে ধরেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম। আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান, আইন বিভাগের ডীন আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক গোলাম হায়দার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো: কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ড. মো: আবু সালেহ, বাংলা বিভাগের সভাপতি আব্দুর রহমান ও স্বাধীনতা দিবস হলের প্রভোস্ট মোঃ ফায়েকুজ্জামান মিয়াসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা কর্মসূচির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী বক্তব্য উপস্থাপন করে প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা কর্মসূচি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিই ছিল না। এটি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার অগ্রিম জন্ম সনদ। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফা দাবীর পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলনের সূচনা হয় এবং পরবর্তীতে এ আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়।
সভাপতির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ.কিউ.এম মাহবুব বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা আন্দোলন একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। তিনি আরও বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই জুন বাঙালির স্বাধীনতা, স্বাধিকার ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে অন্যতম মাইলফলক, অবিস্মরণীয় একটি দিন। এছাড়া তিনি তরুণ প্রজন্মের প্রতি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।